বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের দুই ম্যাচেই জিতেছে ফরচুন বরিশাল। চট্টগ্রামে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও জয় লক্ষ্য ধরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে গেল আসরের চ্যাম্পিয়ন বরিশাল। 

তাওহীদ হৃদয় ওই বিপর্যয় কিছুটা সামাল দেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফিফটি করে দলকে এগিয়ে নেন। রিশাদ ঝড়ো ইনিংস খেলে বরিশালকে ৯ উইকেটে ১৬৭ রানের পুঁজি এনে দেন।  

খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ১৬ রানে টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটারকে হারায় বরিশাল। গোল্ডেন ডাক মারেন অধিনায়ক ও ওপেনার তামিম ইকবাল ও তিনে নামা ডেভিড মালান। মেহেদী মিরাজ তাদের আউট করেন। পরেই ফিরে যান মুশফিকুর রহিম (৫)। টুর্নামেন্ট জুড়েই বিবর্ণ তিনি। 

ওপেনিংয়ে নামা তাওহীদ হৃদয় ও পাঁচে নামা মাহমুদউল্লাহ ৩৭ রানের জুটি গড়ে ওই ধাক্কা কিছুটা সামাল দেন। চট্টগ্রামের উইকেট স্পিন সহায়ক হওয়ায় ওপেনিংয়ে নামেন হৃদয়। তিনি ৩০ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন। 

হৃদয় দলের ৬৩ রানে ফিরে যান। ১ রান যোগ করেই আউট হন মোহাম্মদ নবী। ৮৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে অলআউটের শঙ্কায় পড়ে বরিশাল। মাহমুদউল্লাহ ও রিশাদ সেখান থেকে ৪৭ রানের জুটি গড়েন। রিয়াদ খেলেন ৪৫ বলে ৫০ রানের কার্যকরী ইনিংস। তিনি তিনটি চার ও দুটি ছক্কা তোলেন। রিশাদ ১৯ বলে ৩৯ রান যোগ করেন। পাঁচ চারের সঙ্গে একটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। শেষে জাহানদাদ ৫ বলে ১০ ও তানভীর ৪ বলে ১২ রান করেন। 

বরিশালের ইনিংসে শুরুতে ধাক্কা দেওয়া মিরাজ শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। সালমান ইরশাদ ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। নাসুম আহমেদ ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ১ উইকেট তুলে নেন।    

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ