Risingbd:
2025-08-02@10:32:38 GMT

ব্র্যাক ইউথ ক্যারিয়ার এক্সপো

Published: 22nd, January 2025 GMT

ব্র্যাক ইউথ ক্যারিয়ার এক্সপো

দেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী হওয়ায় দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে এই যুবশক্তির অবদান রাখার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ২০২২ সালের শ্রমশক্তি জরিপে বলা হয়েছে, দেশের ৮ শতাংশ যুবশক্তি বেকারত্বের শিকার যা তরুণ-তরুণীদের দক্ষতা এবং পেশাগত পরামর্শ বা দিকনির্দেশনার মধ্যে যে বড় ফারাক রয়েছে, সেটি তুলে ধরে।

২০২৪ সালের বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস-এর জরিপে দেখা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক চতুর্থাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী বেকার এবং গ্রামাঞ্চলের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বেকারত্ব সবচেয়ে বেশি। স্নাতক ডিগ্রিধারী ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থী কখনোই ক্যারিয়ার পরামর্শ বা চাকরি খোঁজার সহায়তা পাননি।

এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় এক হাজারেরও বেশি তরুণ-তরুণীর অংশগ্রহণে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হলো ‘ব্র্যাক ইউথ ক্যারিয়ার এক্সপো ২০২৫’। তরুণদের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি, দিকনির্দেশনা এবং দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির (এসডিপি) একটি অন্যতম উদ্যোগ ‘ক্যারিয়ারহাব’-এর আয়োজনে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ব্র্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শারমিন জাহান। অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি হিসেবে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.

কামরুজ্জামান ক্যারিয়ার এক্সপোর উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খোন্দকার জাকির হোসেন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আতিয়া চৌধুরী, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জনাব উর্বশী দেওয়ান এবং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এর সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি। ব্র্যাকের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন পরিচালক কেএএম মোর্শেদ এবং দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক তাসমিয়া তাবাসসুম রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শারমিন জাহান যুব ক্যারিয়ার এক্সপোর মাধ্যমে যুবকদের আকাঙ্ক্ষা এবং সুযোগের মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টির জন্য ব্র্যাকের প্রশংসা করেন।

মো. কামরুজ্জামান বলেন, চাকরি প্রস্তুতি বা ক্যারিয়ার গঠনে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শেখার আগ্রহ থাকা অত্যন্ত জরুরি।

খোন্দকার জাকির হোসেন বলেন, ব্র্যাকের ক্যারিয়ার হাব প্রতিযোগিতামূলক বাজারে চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগকারীদের সাথে সংযোগ স্থাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম।

ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক কেএএম মোর্শেদ বলেন, ব্র্যাকের ২০২৬–২০৩০ কৌশলগত পরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে পরবর্তী পাঁচ বছরে ১০ লাখ মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু হচ্ছে শনিবার মধ্যরাতে

তিন মাস দুই দিন পর কাপ্তাই হ্রদে শুরু হচ্ছে মৎস্য আহরণ। শনিবার (২ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরতে পারবেন জেলেরা। 

কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকায় কয়েক বছরের মধ্যে এবার নির্দিষ্ট সময়ে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রশাসন। অন্যান্য বছর ২-৩ দফা সময় বাড়িয়ে প্রায় চার মাস পর মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতো। কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, প্রজনন এবং অবমুক্ত করা মাছের বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেয় জেলা প্রশাসন।

এদিকে, মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর শুধু জেলে পাড়া নয়, কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে জেলার সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণকেন্দ্র বিএফডিসি ঘাট। মাছ পরিবহন ও সংরক্ষণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ড্রাম, বরফ ভাঙার মেশিন। দীর্ঘ ৯২ দিনের কর্মহীন জীবনের অবসান ঘটাতে প্রহর গুনছেন জেলেরা। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)। 

বিএফডিসি সূত্র বলছে, কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য ১ মে থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়। এ সময়ে হ্রদে প্রায় ৬০ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন প্রায় ২৬ হাজার জেলে। 

রাঙামাটির শহরের পুরান পাড়া জেলা পল্লীর বাসিন্দা নেপাল দাশ জানিয়েছেন, মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞাকালে যে সরকারি সহায়তা পাওয়া যায়, তাতে পরিবার নিয়ে চলা কঠিন। দীর্ঘ তিন মাস পর মাছ ধরতে নামতে পারব, এতে খুশি আমরা। 

নতুন পাড়ার জেলে অমর কান্তি দাশ বলেছেন, হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাবে। তবে, পানিতে ঢেউ থাকায় শুরুতে বেশি মাছ পাওয়া যাবে না। পানি কিছু কমে আসলে ও স্থির হলে ভালো মাছ পাব, আশা করি। হ্রদে নামার জন্য যা যা প্রস্তুতি, সবকিছু শেষ করেছি। জাল ও নৌকা মেরামত করা হয়েছে। এখন শুধু লেকে নামার অপেক্ষা। 

রাঙামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া বলেছেন, এবার নিষেধাজ্ঞার শুরু থেকে পর্যাপ্ত বৃষ্টির ফলে কাপ্তাই হ্রদে যথেষ্ট পানি থাকায় মাছ প্রথম থেকেই প্রজনন এবং বড় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আশা করছি, এবার পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাবে। ব্যবসায়ীরা সব প্রস্ততি নিয়েছেন। রবিবার সকাল থেকে বিএফডিসি ঘাটে মাছ আসবে।

বিএফডিসির রাঙামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম বলেছেন, নিষেধাজ্ঞাকালীন আমাদের উপকেন্দ্রগুলোর যেসব অবকাঠামো সংস্কারের প্রয়োজন ছিল, সেসব আমরা শেষ করেছি। অন্যান্য যেসব প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, সেসবও শেষ হয়েছে। আশা করছি, গত বছরের মতো এবছরও ভালো মাছ পাওয়া যাবে।

ঢাকা/শংকর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ