সিলেটে ৪৮ ঘণ্টায় একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু
Published: 22nd, January 2025 GMT
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন, বার্ধক্যজনিত কারণে একজন ও প্রসবজনিত কারণে একজনের মৃত্যু হয়।
সর্বশেষ বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় রিফাত আহমেদ কিবরিয়া (১৯) ও আবু সুফিয়ান (২০) নিহত হয়। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।
নিহত রিফাত আহমেদ কিবরিয়া উপজেলার বিছনাকান্দি ইউনিয়নের ভিতরগুল গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে ও আবু সুফিয়ান একই পরিবারের ফরিদ আহমেদর ছেলে।
আরো পড়ুন:
অটোরিকশা চালকের মৃত্যু
কটিয়াদী থানার ওসিসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
জাহাজের সুকানি হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন
পরিবারের বরাত দিয়ে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ জানান, বুধবার বেলা ২টার দিকে গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজে পরীক্ষা শেষে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র রিফাত আহমেদ কিবরিয়া (১৯) ও আবু সুফিয়ান (২০)। উপজেলার সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়কে সতী নামক স্থানে পৌঁছলে অপরদিক থেকে আসা অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কিবরিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। সুফিয়ানকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়।
নিহতদের স্বজন খাইরুল ইসলাম ইসলাম জানান, শুধু কিবরিয়া বা সুফিয়ান নয়; ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ পরিবারে আরো দুই সদস্য মারা যায়। তাদের মধ্যে নিহত কিবরিয়ার চাচি সয়জুন বেগম (৬০) বার্ধক্যজনিত কারণে এবং কিবরিয়ার ভাইয়ের বউ রেফা বেগম সন্তান প্রসবের সময় মারা যায়। অল্প সময়ের মধ্যে চারজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ জানান, বিষয়টি মর্মান্তিক। দুর্ঘটনায় নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা/নুর/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব র র আহম দ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।গত মঙ্গলবার এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দিুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে।
এছাড়া ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দু’জন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের একজন হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগনি। দোলার বাবা সৈয়দ গোলাম দস্তগীর পেশায় ব্যবসায়ী।
সৈয়দা নীলিমা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কিছুদিন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
এ বিষয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী রাজনীতি করা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আপনাদের সামনে আসতে পারে। আমি নিজে এর একটা ব্যাখ্যা রাজপথের সহযোদ্ধাদের দিয়ে রাখতে চাই। আমি ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করছি। নো মেট্রো অন ডিইউ মুভমেন্ট, রামপাল বিরোধী আন্দোলন, ডিএসএ বাতিলের আন্দোলন, সুফিয়া কামাল হলকে ছাত্রলীগ মুক্ত করাসহ অন্যান্য সকল আন্দোলনে আমি পরিচিত মুখ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার লেখালেখিও পুরনো। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই আমার নাগরিক কমিটির সদস্য হতে বাধা কোথায়? এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে-বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার এনসিপি কমিটি গঠনে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘তার (সৈয়দা নীলিমা) পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি, গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার মামা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুড়েছিল। তার মায়ের কর্মকাণ্ডও আমাদের অজানা নয়।’
সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত নেই মন্তব্য করে সোহেল রানা বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হলে ভাল হতো। যাচাই-বাছাই করা হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।’