চাঁদা না দেওয়ায় অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত
Published: 23rd, January 2025 GMT
চারঘাটে চাঁদা না পেয়ে ইউসুফপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আমিনকে লাঞ্ছিত করে কলেজের চেকবই ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে পৌর বিএনপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মো. রোকনুজ্জামানসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে ভ্যানে চারঘাট বাজারে ফিরছিলেন অধ্যক্ষ নুরুল আমিন। মুক্তারপুর এলাকায় পৌঁছলে তাঁর ভ্যানের গতি রোধ করেন বিএনপি নেতা রোকনুজ্জামান, আব্দুর রাজ্জাক ও তিতাস। তারা অধ্যক্ষের শার্টের কলার ধরে ভ্যান থেকে নামিয়ে ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ব্যাগে থাকা রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের তিনটি চেকবই এবং রেজুলেশন ও নোটিশ খাতা ছিল। সোনালী ব্যাংকের ব্যক্তিগত ফাঁকা চেকে জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও পকেটে থাকা দুটি মোবাইল ফোন ও ১০ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয়।
অধ্যক্ষ নুরুল আমিন বলেন, ‘পাঁচ আগস্টের পর বিএনপি নেতা রোকনুজ্জামান দলবল নিয়ে কলেজে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন। তালা খুলতে বললে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেই টাকা না দেওয়ায় ভয়ভীতি দেখান। গতকাল পথরোধ করে জনসমক্ষে হেনস্তা করে সবকিছু কেড়ে নেন। আমি এখনও কলেজে যেতে পারি না।’
ইউসুফপুর কলেজের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন রোকনুজ্জামানের পরিবার জমি দান করেছিলেন। তারা এখন সে জমি ফেরত চান। ওই সময় বর্তমান অধ্যক্ষ দায়িত্বে ছিলেন না। এ বিষয়ে আদালতে একাধিক মামলা চলমান।
কলেজের সভাপতি ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি জিল্লুর রহমান বিপ্লব বলেন, কলেজের বিরুদ্ধে জমিসংক্রান্ত বিষয়ে রোকনুজ্জামান মামলা করেছেন। বিষয়টি আদালতে সমাধান হবে। দলবল নিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হবার পথে। এছাড়া প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করাও দুঃখজনক।
এ বিষয়ে মো.
চারঘাট মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত চেক ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়নি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কল জ র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’