হারলেই বিদায় একপ্রকার নিশ্চিত ছিল পিএসজির। ম্যানচেস্টার সিটির সম্ভাবনা ঝুলছিল সুতোর ডগায়। বুধবার রাতে ঘরের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে দুর্দান্ত কামব্যাকে ম্যানসিটিকে ৪-২ গোলে হারিয়ে বিপদ কিছুটা কাটিয়েছে পিএসজি। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের শেষ ধাপে চলে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি।

প্যারিসে রাতের ম্যাচে প্রথমার্ধে গোল শূন্য সমতা করে দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ২-০ গোলের লিড নেয় সিটিজেনরা। জ্যাক গ্রেলিস ৫০ মিনিটে ও আর্লিং হালান্ড ৫৩ মিনিটে গোল করেন।

পরের গল্পটা লুইস এনরিকের দল পিএসজির। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে উসমান ডেম্বেলে এক গোল শোধ করেন। ৬০ মিনিটে তরুণ ফ্রান্স ফরোয়ার্ড ব্রাডলি বারকোলা ব্যবধান ২-২ করে ফেলেন। ৭৮ মিনিটে গোল করেন জোয়াও নেভাস। ম্যানসিটির সমতায় ফেরার আশা যোগ করা সময়ে শেষ করে দেন গঞ্জালো রামোস।

এই জয়ে পিএসজি ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে ২২তম অবস্থানে আছে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে তারা স্টুটগার্টের বিপক্ষে খেলবে। ওই ম্যাচে ড্র করলে প্লে অফ নিশ্চিত হবে পিএসজির। হারলে পয়েন্ট বা গোলের ব্যবধানে বিদায়ও নিতে হতে পারে।

অন্য দিকে ম্যানসিটি সেরা ২৪ এর বাইরে চলে গেছে। টেবিলে পেপ গার্দিওলার দল আছে ২৫তম অবস্থানে। শেষ ম্যাচে ঘরের মাঠে ক্লাব ব্রুর্গের বিপক্ষে খেলবে সিটিজেনরা। ওই ম্যাচে জিতলে ১১ পয়েন্ট হবে ম্যানসিটির। যদি বেনফিকা, পিএসজি, স্পোর্টিং কিংবা স্টুটগার্ট শেষ ম্যাচে হারে এবং ম্যানসিটি জেতে তবেই প্লে অফ খেলার সুযোগ পাবেন হালান্ডরা।    

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ল গ প এসজ প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ