দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। সুনিপুণ অভিনয়ের পাশাপাশি ভালো গানও করেন। এতদিন ভক্তরা তার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন। এবার অভিনেতার গাওয়া গান শুনতে পাবেন তারা। প্রথমবার সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন মোশাররফ করিম।

‘ভালো লাগে না’ শিরোনামের গানটি ব্যবহার করা হয়েছে মোশাররফ করিম অভিনীত ‘বিলডাকিনি’ সিনেমায়। এটি পরিচালনা করেছেন ফজলুল কবীর তুহিন। গানটির কথা ও সুর করেছেন মোশাররফ করিম নিজেই। বেশ আগে গানটি রচনা করেন তিনি। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে গানটি।

পরিচালক ফজলুল কবীর তুহিন গণমাধ্যমে বলেন, “প্রায়ই আড্ডাতে ‘ভালো লাগে না’ গানটি গাই আমরা। সিনেমার প্রেক্ষাপট অনুযায়ী জেলখানায় একটি গানের প্রয়োজন ছিল। আমার কাছে মনে হলো, দৃশ্যের সঙ্গে গানটি দারুণ মানিয়ে যাবে।”

আরো পড়ুন:

দুই নায়িকাকে নিয়ে জায়েদ খানের ডিগবাজি (ভিডিও)

সাইফের বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্ব নিলেন ‘কে.

ডি. পাঠক’

পরের ঘটনা বর্ণনা করে ফজলুল কবীর তুহিন বলেন, “গানটি সিনেমায় ব্যবহারের জন্য মোশাররফ করিম ভাইকে জানাই। প্রস্তাব শুনে জানতে চান, গানটি গাইবে কে? তখন বলি, আপনার কণ্ঠেই ভালো হবে। তিনি সম্মতি দেন। এরপরই আমরা গানটি রেকর্ড করি।”

কথাসাহিত্যিক নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের উপন্যাস ‘বিলডাকিনি’ অবলম্বনে একই নামে নির্মিত হয়েছে সিনেমা। এর কেন্দ্রীয় দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম ও কলকাতার পার্নো মিত্র।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ