সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের জন্য অভিনন্দন জানানোর সময় তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সোমবার ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পর এক ফোনালাপে বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশটির কার্যত নেতা যুবরাজ মোহাম্মদ বড় অংকের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে রিয়াদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। নতুন মেয়াদে তিনি সৌদি আরবকে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাপ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, “যুবরাজ আগামী চার বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণের ইচ্ছার কথা নিশ্চিত করেছেন এবং এর পরিমাণ আরো বেশি হতে পারে।”

এই তহবিলের উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান জানায়নি বার্তা সংস্থাটি। তবে বিনিয়োগের এই অংক সৌদি জিডিপির অর্ধেকেরও বেশি প্রতিনিধিত্ব করে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ