থমথমে গাজীপুর শিল্প এলাকা ৪১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 24th, January 2025 GMT
গাজীপুর সদরের বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা কারখানার সামনে গতকাল বৃহস্পতিবারও ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে অবস্থান নেন। তাদের কেউ কেউ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। তবে বড় কোনো সংঘাত হয়নি। বেক্সিমকোর বন্ধ ১৬ কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক বুধবার চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে যে তাণ্ডব চালান, তার রেশ দেখা যায়।
গাজীপুর শিল্প এলাকা গতকাল ছিল থমথমে। দিনভর গাজীপুর এবং আশুলিয়া শিল্প এলাকায় ছিল বাড়তি সতর্কতাও।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানান, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন তারা। কর্মহীন শ্রমিকদের কেউ উস্কে দিয়েছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
এদিকে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রামীণ ফেব্রিকসের জেনারেল ম্যানেজার তরিকুল ইসলাম তুহীন কাশিমপুর থানায় ১৪ শ্রমিকের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গতকাল মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শ্রমিকদের বেশির ভাগ আত্মগোপন করেন।
আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে গতকাল মহানগরের জিরানি বাজার, চক্রবর্তী ও গ্রামীণ ফেব্রিকস কারখানার সামনে সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশ ও থানা-পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসব এলাকায় দিনভর টহল দেন।
গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর সারাবো এলাকার বেক্সিমকোর ১৬ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের চক্রবর্তী মোজার মিল এলাকায় বুধবার বিকেলে জড়ো হন হাজারো শ্রমিক। এক পর্যায়ে তারা সড়কে শুয়ে যানবাহন চলাচল আটকে দেন। এক পর্যায়ে লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে হামলাকারীরা গ্রামীণ ফেব্রিকস কারখানায়ও ভাঙচুর চালান এবং কারখানার নিচতলায় আগুন দেন।
মামলার বাদী ও গ্রামীণ ফেব্রিকসের জেনারেল ম্যানেজার তরিকুল ইসলাম তুহীন সমকালকে বলেন, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের দেওয়া আগুনে তাদের কারখানার ১৮ কোটি টাকার মালপত্র পুড়ে গেছে। মামলায় খোরশেদ আলম নামে এক শ্রমিককে প্রধান আসামি করা হয়েছে। আসামি ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কাশিমপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।