পুতিনের সাথে বসতে প্রস্তুত ট্রাম্প
Published: 24th, January 2025 GMT
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিশ্চিত করার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে দেখা করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্স শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে।
যদিও গত মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে আভাস দেন ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আলোচনায় বসতে রাজি না হলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে ট্রাম্প অনেকবার ঘোষণা করেছেন যে তিনি তার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি করবেন। তবে তার উপদেষ্টারা এখন স্বীকার করছেন যে যুদ্ধের সমাধান হতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগবে।
দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে অংশ নিয়ে বুধবার ট্রাম্প বলেন, “আমি সত্যিই চাই দ্রুতই রুশ প্রেসিডেন্টের সাথে দেখা করে এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে।”
হোয়াইট হাউসে এর পরের দিন ফের ট্রাম্প বলেন, “আমি শুনেছি, পুতিন আমার সাথে দেখা করতে চান। আমি অবিলম্বে তার সাথে সাক্ষাত করব।”
গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের রুজভেল্ট রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন ট্রাম্প। সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, পুতিন যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসতে রাজি না হন, তাহলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবেন কি না।
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘খুব সম্ভবত।’
বরাবরের মতোই ট্রাম্প গতকালের সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, তিনি যদি ক্ষমতায় থাকতেন, তাহলে এ যুদ্ধই বাধত না।
ঢাকা/নাছিম/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’