কক্সবাজার শহরে নিম্নমানের সড়ক বাতি ও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজার পৌরসভায় অভিযান চালিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের এসব তথ্য পায় দুদকের তদন্ত দল।

অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক অনিক বড়ুয়া বলেন, স্থানীয় ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় কক্সবাজার পৌরসভা ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন সময়ে সড়ক বাতি ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছে। তবে নিম্নমানের বাতি ও ক্যামেরা লাগিয়ে বড় ধরনের দুর্নীতি করা হয়েছে। এসব প্রকল্পের বাজেট বরাদ্দ, টেন্ডার প্রক্রিয়াও অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে। এ জন্য আরও অনুসন্ধানের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র আগামী রোববারের জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের কার কতটুকু দায়িত্ব তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী পরাক্রম চাকমা বলেন, দুদক তাদের কাছে জানতে চেয়েছে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে সন্ধ্যার পর বাতি জ্বলে না কেন? এ ছাড়া কিছু কাগজপত্র চেয়েছে। তিনি আরও বলেন, শহরের উপসড়কগুলোতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ও এলজিইডির মাধ্যমে পৌরসভা যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে সেটি আমি যোগ দেওয়ার আগে। তাই বিস্তারিত বলতে পারব না।

দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, শুরুতেই ব্যাপক নিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর কত টাকার দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে তা বলা যাবে। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রকল প প রসভ

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে ছেলের হাতে বাবা খুন

ঝিনাইদহে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের কোদালের কোপে শাহাদত হোসেন (৬৩) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফয়সাল হোসেনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৬ জুন) সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহাদত হোসেন ওই গ্রামের তাইজেল হোসেনের ছেলে।

নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, সকাল ১০টার দিকে শাহাদত হোসেন ছেলে ফয়সাল হোসেনকে সাথে নিয়ে মাঠে কাজ করতে যান। কাজ করার ফাঁকে ফয়সাল কোদাল দিয়ে তার বাবার মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মৃত বাবাকে মাঠে রেখে বাড়িতে গিয়ে মাকে পুরো ঘটনা জানান ফয়সাল। স্বজনেরা দ্রুত মাঠে গিয়ে শাহাদতের লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন।

আরো পড়ুন:

কারাগারে ‘ফাঁস নিলেন’ জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সুজন

মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ফয়সাল হোসেন দুই বছর ধরে মানসিক বিকারগ্রস্ত। পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কিছুদিন আগে বাড়িতে ফিরেছেন।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘অভিযুক্ত ফয়সালকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ