রংপুর রাইডার্সকে রাজশাহী ‘আহো ভাতিজা আহো’
Published: 24th, January 2025 GMT
বিপিএলের চলতি আসরে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রংপুর রাইডার্সের জয়রথ থামিয়ে দিয়েছে দুর্বার রাজশাহী। গতকাল ২৪ রানের জয় দিয়ে রাজশাহী দেখিয়েছে দাপট। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে রাজশাহী ৯ উইকেটে ১৭০ রান তোলে। জবাবে রংপুর ১৯.২ ওভারে ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। এই হারে ৮ ম্যাচ পর প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পায় রংপুর, আর এটি রাজশাহীর চতুর্থ জয়।
ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই দলের মধ্যকার বাকযুদ্ধ নতুন মাত্রা যোগ করে। রাজশাহী তাদের ফেসবুক পেজে রংপুরকে উদ্দেশ্য করে লিখেছে, ‘রং মুছে গেছে দেয়ালের। দুর্বার যখন ফর্মে, প্রতিপক্ষ তখন অন্ধকারে!’ পোস্টে রায়ান বার্লের ছবি যুক্ত করে ক্যাপশন দেওয়া হয় ‘আহো ভাতিজা আহো।’
রংপুরও জবাব দিতে দেরি করেনি। তারা রাজশাহীর পোস্টে পাল্টা লিখেছে, ‘ঘিরে লিয়েছে মামুর ব্যাটারা—পচা শামুকে কেটেছে পা! ভয়ঙ্কর হয়ে ফিরবে জয়ের লড়াই, ইনশাআল্লাহ।’
দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির এমন পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোড়ন তুলেছে। নেটিজেনরা এসব মন্তব্য নিয়ে মজার কৌতুকে মেতে উঠেছেন। মাঠের উত্তেজনার পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমের এই লড়াই বিপিএলের উন্মাদনায় নতুন রঙ যোগ করেছে।
চলতি আসরে নানা বিতর্ক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মধ্যে এমন বাকযুদ্ধ কিছুটা হলেও বিনোদনের খোরাক জুগিয়েছে দর্শকদের। রংপুর-রাজশাহীর এই ‘মাঠের বাইরের ম্যাচ’ বিপিএল ভক্তদের মাঝে বাড়তি উন্মাদনা ছড়িয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।
এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’