বিপিএলের চলতি আসরে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রংপুর রাইডার্সের জয়রথ থামিয়ে দিয়েছে দুর্বার রাজশাহী। গতকাল ২৪ রানের জয় দিয়ে রাজশাহী দেখিয়েছে দাপট। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে রাজশাহী ৯ উইকেটে ১৭০ রান তোলে। জবাবে রংপুর ১৯.২ ওভারে ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। এই হারে ৮ ম্যাচ পর প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পায় রংপুর, আর এটি রাজশাহীর চতুর্থ জয়।  

ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই দলের মধ্যকার বাকযুদ্ধ নতুন মাত্রা যোগ করে। রাজশাহী তাদের ফেসবুক পেজে রংপুরকে উদ্দেশ্য করে লিখেছে, ‘রং মুছে গেছে দেয়ালের। দুর্বার যখন ফর্মে, প্রতিপক্ষ তখন অন্ধকারে!’ পোস্টে রায়ান বার্লের ছবি যুক্ত করে ক্যাপশন দেওয়া হয় ‘আহো ভাতিজা আহো।’

রংপুরও জবাব দিতে দেরি করেনি। তারা রাজশাহীর পোস্টে পাল্টা লিখেছে, ‘ঘিরে লিয়েছে মামুর ব্যাটারা—পচা শামুকে কেটেছে পা! ভয়ঙ্কর হয়ে ফিরবে জয়ের লড়াই, ইনশাআল্লাহ।’

দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির এমন পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোড়ন তুলেছে। নেটিজেনরা এসব মন্তব্য নিয়ে মজার কৌতুকে মেতে উঠেছেন। মাঠের উত্তেজনার পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমের এই লড়াই বিপিএলের উন্মাদনায় নতুন রঙ যোগ করেছে। 

চলতি আসরে নানা বিতর্ক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মধ্যে এমন বাকযুদ্ধ কিছুটা হলেও বিনোদনের খোরাক জুগিয়েছে দর্শকদের। রংপুর-রাজশাহীর এই ‘মাঠের বাইরের ম্যাচ’ বিপিএল ভক্তদের মাঝে বাড়তি উন্মাদনা ছড়িয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ