ঢাকায় রাশিয়ান ডকুমেন্টারি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত
Published: 24th, January 2025 GMT
ঢাকার রাশিয়ান হাউজে অনুষ্ঠিত হয়েছে রাশিয়ান ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্র উৎসব। এল এ প্রোডাকশন, রাশিয়ান নলেজ সোসাইটি এবং আরটি ডকুমেন্টারি এ উৎসবের আয়োজন করে।
রাশিয়ান হাউজের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২২ থেকে ২৩ জানুয়ারি এ উৎসবে দর্শকরা সমসাময়িক রাশিয়ান ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্রের সেরা উদাহরণগুলোর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, যা ইতিহাস ও বিজ্ঞান থেকে শুরু করে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য পর্যন্ত বিস্তৃত বিষয়গুলোকে কাভার করেছে।
উৎসবে দেখানো হয় ‘বিউটি ইন দ্য এরা অব অ্যান্টিকুইটি: আইডিয়ালস, স্ট্যান্ডার্ডস’। এটি এমন একটি চলচ্চিত্র, যা প্রাচীন সময়ের সৌন্দর্যের ধারণাগুলোর অনুসন্ধান করে। ‘দ্য ফিউচার অব রাশিয়া’ এই ডকুমেন্টারি রাশিয়ার ভবিষ্যৎ উন্নয়নের সম্ভাবনার ওপর আলোকপাত করে। ‘রেড বুক: ডিসেনডেন্ট অব দ্য ম্যামথ’ বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী প্রজাতির বিষয়ে একটি চমকপ্রদ বিবরণ। ‘রাশিয়ান ম্যারেজ কোয়েস্ট’ ছবিটি রাশিয়ার আধুনিক বিবাহের ঐতিহ্যগুলোকে তুলে ধরে। ‘ওয়ান্ডারিং পেইন’ চেচনিয়ার ঘটনাবলির ওপর ভিত্তি করে তৈরি। ‘রোড টু বার্নিও’ আর্কটিকের চরম পরিস্থিতিতে বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিবরণ দেয়।
প্রদর্শনীগুলো তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। দর্শকরা প্রদর্শিত চলচ্চিত্রগুলোর মান, গভীরতা এবং আবেগময়তার উচ্চ প্রশংসা করেছেন।
ঢাকা/হাসান/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
রাজধানীর বাংলা মোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শিশুসাহিত্যিক অমিত কুমার কুণ্ডুর শিশুতোষ ছড়ার বই ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিল বইটির প্রকাশনা সংস্থা পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড।
শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দন্ত্যস রওশন, লোকসংস্কৃতিবিদ তপন বাগচী, শিশুসাহিত্যিক সঙ্গীতা ইমাম, কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার। অনুষ্ঠানে বক্তারা বইটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
আরো পড়ুন:
নদী স্মৃতিনির্ভর সংকলন গ্রন্থ ‘আমার নদী’ প্রকাশিত
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
প্রধান অতিথির আলোচনায় রফিকুর রশীদ বলেন, “১২৪টি ফলের ওপর লেখা এই বইয়ের ছড়াগুলো কেবল পাঠকের রসাস্বাদনই করাবে না, শিশু শিক্ষামূলক এই ছড়াগুলো রসোত্তীর্ণও বটে।”
তিনি দেশের প্রকাশকদের অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়ে বলেন,“প্রকাশকদের বেশি বেশি এরকম প্রকাশনা উৎসব আয়োজন করা উচিত।”
বইটির ব্যতিক্রমী আকৃতির দিকে ইঙ্গিত করে দন্ত্যস রওশন বলেন, “পাঠক তৈরির প্রয়াসেই পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এমন ক্ষুদ্রাকৃতির ও নতুন নতুন সাইজের বইয়ের ধারণা বাজারে আনছে। এটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।”
শিক্ষাবিদ সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, “শিক্ষার দুটো দিক রয়েছ।একটি হলো ট্রাডিশনাল, যা আমরা পড়েছি, আপনারাও পড়েন। আরেকটি হলো জাঁ জ্যাক রুশোর পদ্ধতি। তিনি বলেছে, প্রকৃতির সঙ্গে শেখা।রবীন্দ্রনাথ যা বিশ্বভারতীর মাধ্যমে করিয়ে দেখিয়েছেন।অমিত কুমার কুণ্ডুর ছড়ার বইটি সে রকমই।এর মাধ্যমে প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করবে শিশুরা ও ওরা শিখবে। এরকম বই প্রকাশ করার জন্য প্রকাশকে ধন্যবাদ। আমাদের প্রকাশকদের এ ধরনের বই বেশি বেশি করতে হবে।”
কাঁচামিঠে ফলের ছড়া বইটির পাতায় পাতায় দেশি-বিদেশি বিচিত্র ফলের পরিচয়, পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা নান্দনিক অলংকরণে ছন্দে-ছড়ায় তুলে ধরা হয়েছে। বইটি থেকে ছড়া আবৃত্তি করে বাচিক শিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা।
অনুষ্ঠান শেষে ছিল মৌসুমী ফল দিয়ে অতিথিদের অ্যাপায়নের ব্যবস্থা।
ঢাকা/এসবি