সুপার সিক্সে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কেন ভারত
Published: 24th, January 2025 GMT
অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে বুধববার (২২ জানুয়ারি, ২০২৫) বাংলাদেশের মেয়েরা সুপার সিক্স নিশ্চিত করেছেন। এই রাউন্ডে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে শক্তিশালী ভারতকে, সঙ্গে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজও।  
গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষে ছিল অস্ট্রেলিয়া, নেপাল ও স্কটল্যান্ড। গ্রুপ ‘ডি’-এর সেই লড়াইয়ে অজিদের বিপক্ষে ম্যাচ হেরে রানার্সআপ হয়ে সুপারসিকে জায়গা পায় বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব–১৯ দলের মেয়েরা।
বাংলাদেশ সুপার সিক্সে ১ নম্বর গ্রুপে জায়গা করে নিয়েছে। এই গ্রুপের অন্য ৫টি দল হচ্ছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্কটল্যান্ড। এখন ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে প্রশ্ন, বাংলাদেশ শুধু ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই কেন খেলবে?
আরো পড়ুন:
বিএসএফের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন: বিজিবি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে উত্তেজনা
অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপের এবারের আসরের নিয়ম অনুযায়ী, একই গ্রুপে থাকা দলগুলো সুপার সিক্সে একে অন্যের মুখোমুখি হবে না। আবার গ্রুপ পর্বের চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপরা অন্য গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপদের সঙ্গে খেলবে না।
দেখা যাচ্ছে সুপার সিক্সের ১ নম্বর গ্রুপটা মূলত তৈরি হয়েছে গ্রুপ পর্বের ‘এ’ ও ‘ডি’ গ্রুপ দিয়ে। বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে ছিল ‘ডি’ গ্রুপে। একই গ্রুপ থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে সুপার সিক্সে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া ও স্কটল্যান্ড।
‘ডি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষ দল ভারত এবং রানার্সআপ শ্রীলঙ্কা। তাই বাংলাদেশকে খেলতে হচ্ছে ভারতের বিপক্ষেই। তুলনামূলক কম শক্তিশালী শ্রীলঙ্কাকে প্রতিপক্ষে হিসেবে পাচ্ছে না নিয়মের বেড়াজালে। সুপার সিক্সে বাংলাদেশের আরেক প্রতিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ গ্রুপ থেকে তৃতীয় হয়ে উঠে এসেছে।
বাংলাদেশের জন্য সেমিফাইনালের রাস্তা কঠিন। এই দুটা ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশের ক্ষুদে মেয়েদের শেষ চার নিশ্চিত নয়। কারণ, গ্রুপ পর্বে খেলা ম্যাচের পয়েন্টও যোগ করা হবে। তবে যারা এক্ষত্রে বিবেচনা করা হবে কেবল যারা সুপার সিক্সে উঠেছে, তাদের বিপক্ষে পাওয়া পয়েন্টগুলো।
সুপার সিক্সে থাকা দুই দলের বিপক্ষে জয় নিয়ে শীর্ষ দুই দল ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ২ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৪ নম্বরে। অন্যদিকে সমান ২ পয়েন্ট পেলেও তালিকার রানরেটে এগিয়ে থেকে ৩ নম্বরে আছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের রানরেট (+০.                
      
				
ঢাকা/নাভিদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প পর ব
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’