জুলাই আন্দোলনে আহত সাতজনকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের সেখানে পাঠানো হয়।   

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তারা সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল আই সেন্টারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া এই সাতজন হলেন, আব্দুল্লাহ আল বাকী, আকতার হোসেন, মো.

ইয়ামিন, ফয়েজ আহমেদ, মিনহাজুল ইসলাম শুভ, মোহাম্মদ রমজান ও সালমান বিন শোয়াইব।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

একই সময় একই মাঠে ফুটবল ও ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১৫, একজন আইসিইউতে

রাজশাহীর বাঘায় একই দিন একই সময়ে ফুটবল ও ক্রিকেট প্রীতি ম্যাচের আয়োজনকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার বাউসা হারুন অর রশিদ শাহ্ দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় ওই মাঠে বিবাহিত ও অবিবাহিত প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করেন আড়ানী ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁরা স্কুলের মাঠটিতে খেলার জন্য বিএনপির স্থানীয় নেতা শাহিনুর রহমানের কাছে অনুমতি নিয়ে মাঠে আসেন। অপর দিকে একই মাঠে বিবাহিত ও অবিবাহিতদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেন বাউসা ইউনিয়নের বাউসা চকরপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা।

একই দিন ও একই সময়ে ক্রিকেট ও ফুটবল দলের খেলোয়াড়েরা মাঠে নামলে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন। গুরুতর আহত সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

আড়ানী বেড়েরবাড়ি ক্রিকেট দলের আহত ব্যক্তিরা হলেন রানা আলী (২৪), মতিউর রহমান (৪২), আনছার আলী (২৮), বিল্পব আলী (২০)। বাউসা চকর পাড়া ফুটবল দলের আহত ব্যক্তিরা হলেন ফরহাদ আলী (১৬), তপু আহম্মেদ (১৫) ও সিয়াম হোসেন (১৮)। এর মধ্যে রানা আলী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ও মতিউর রহমান ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, শাহিনুর রহমান বিএনপির কোনো পদ–পদবিতে নেই। এ ছাড়া তিনি স্কুলের মাঠ অনুমতি দেওয়ার কেউ না।

শাহিনুর রহমান বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী আড়ানী ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি গ্রামের লোকজন স্কুলের মাঠে ক্রিকেট খেলার জন্য বলেছিলেন। তাই আমি তাদের খেলতে বলেছি। বিষয়টি জানার পরও চকরপাড়া গ্রামের লোকজন ফুটবল খেলার জন্য মাঠে আসে। পরে তাদের অনুরোধ করেও মানাতে পারিনি। পরে উভয় পক্ষের মারামারিতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।’

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আ ফ ম আছাদুজ্জামান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় রানার বাবা রুস্তুম আলী বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উত্তরা হত্যাকাণ্ডে সাবেক মেয়র আতিকসহ ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে
  • একই সময় একই মাঠে ফুটবল ও ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১৫, একজন আইসিইউতে