সমন্বয়ককে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে
Published: 24th, January 2025 GMT
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইব্রাহিম হোসেনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
মারধরে আহত সমন্বয়ক ইব্রাহিম পৌর শহরের পূর্ব টেংরি এলাকার মো.
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ইব্রাহিম বন্ধুদের সঙ্গে কলেজের সামনে বসে চা পান করছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে তাদের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যান। পরে আহত অবস্থায় ইব্রাহিমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার পর ইব্রাহিম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে বলেন, পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাকিল হোসেনসহ কয়েকজন তার ওপর হামলা চালান। শাকিল আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলির চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজনের তোপের মুখে পালিয়ে যান। তিনি এতে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
শাকিল গা-ঢাকা দেওয়ায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
ঈশ্বরদী থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, ঘটনার পর কলেজ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে অপদস্থ বাবা, ছেলেকেও পিটিয়ে হত্যা
হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে অপদস্থ হওয়া বাবাকে রক্ষা করতে গিয়ে জাকির হোসেন (৩৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পিরিজপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে।
নিহত জাকির হোসেন ওই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক হারুনুর রশিদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে গনি মিয়া গং ও শাজাহান মিয়া গংয়ের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে পিরিজপুর পয়েন্টে গনি মিয়ার ছেলে হোসাইন মিয়া ও শাজাহান মিয়ার ছেলে মহসিন মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।
সংঘর্ষ থামাতে স্থানীয় হারুনুর রশিদ নামে একজন এগিয়ে গেলে তাকে অপদস্থ করা হয়। তখন বাবাকে রক্ষায় তার ছেলে জাকির হোসেন দোকান থেকে বের হলে প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর চড়াও হয়। তাদের মারপিটে গুরুতর আহত অবস্থায় জাকিরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আহতদের মধ্যে তজিমুল মিয়া (৫৫), রুবেল মিয়া (২৭) ও উজ্জ্বল মিয়া (৩০) নামে ৩ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ময়না মিয়া বলেন, ‘‘দীর্ঘদিনের জমিসংক্রান্ত বিরোধ থেকেই এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।’’
রাতে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম।
ওসি বলেন, ‘‘ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে নারী-পুরুষ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া গ্রাম থেকে কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।’’
ঢাকা/মামুন/টিপু