সাতক্ষীরা শহরে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে জালানার গ্রিল কেটে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদলের সদস্যরা বাড়ির আলমারিতে থাকা নগদ ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকাসহ ৬ ভরি স্বর্ণের গহনা লুট করে নিয়ে গেছে।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ভোরে সাতক্ষীরা শহরের মধুমোল্লারডাঙ্গী এলাকার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম রাসেলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রাসেল মধুমোল্লারডাঙ্গী গ্রামের হাবিবুল্লাহ বাহারের ছেলে।

রাসেলের স্ত্রী শারমিন সুলতানা বলেন, “বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের কৈখালীতে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়রা ফোনে আমাকে জানায় আমার ঘরের জালানার গ্রিল কাটা। আমি তড়িঘড়ি আমার বোনকে নিয়ে বাড়ি পৌঁছে পুলিশে খবর দিই। পুলিশ আসার পর ঘরে ঢুকে দেখি আমার আলমারির ড্রয়ারে থাকা নগদ ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা, ১০ টি স্বর্ণের নাকফুল, ৪ জোড়া স্বর্ণের রুলি, ২ জোড়া স্বর্ণের চেইনসহ ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।”

সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ উপ-পরিদর্শক সোহেল আহমেদ বলেন, “লুটপাটের ঘটনা সত্য। তবে চুরি কি ডাকাতি সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/শাহীন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ

বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।

এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।

জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ

বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ