সাতক্ষীরা শহরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি
Published: 24th, January 2025 GMT
সাতক্ষীরা শহরে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে জালানার গ্রিল কেটে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদলের সদস্যরা বাড়ির আলমারিতে থাকা নগদ ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকাসহ ৬ ভরি স্বর্ণের গহনা লুট করে নিয়ে গেছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ভোরে সাতক্ষীরা শহরের মধুমোল্লারডাঙ্গী এলাকার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম রাসেলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রাসেল মধুমোল্লারডাঙ্গী গ্রামের হাবিবুল্লাহ বাহারের ছেলে।
রাসেলের স্ত্রী শারমিন সুলতানা বলেন, “বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের কৈখালীতে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়রা ফোনে আমাকে জানায় আমার ঘরের জালানার গ্রিল কাটা। আমি তড়িঘড়ি আমার বোনকে নিয়ে বাড়ি পৌঁছে পুলিশে খবর দিই। পুলিশ আসার পর ঘরে ঢুকে দেখি আমার আলমারির ড্রয়ারে থাকা নগদ ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা, ১০ টি স্বর্ণের নাকফুল, ৪ জোড়া স্বর্ণের রুলি, ২ জোড়া স্বর্ণের চেইনসহ ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।”
সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ উপ-পরিদর্শক সোহেল আহমেদ বলেন, “লুটপাটের ঘটনা সত্য। তবে চুরি কি ডাকাতি সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/শাহীন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের
গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।
এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।
মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।