মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে জখম, ভাংচুর লুটপাট
Published: 24th, January 2025 GMT
বন্দরে মাদক বিক্রি করতে বাধা দেয়ায় একই পরিবারের বাবা-ছেলে ও মেয়েকে পিটিয়ে জখম করেছে মাদক কারবারিরা। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারী) বিকালে বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দ নগর এলাকায় খাজা আব্দুর রশিদের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
হামলাকারীরা আহত খাজা আব্দুর রশিদের ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও একটি মোটরসাইকেল সহ ৮ লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে গেছে মাদক কারবারি সিন্ডিকেট। এ ঘটনায় আহত জনি বাদী হয়ে মাঈনুল, পারভেজ ও মিলন হোসেনসহ ৬জনকে আসামি করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার রাতে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানাগেছে,বন্দর উপজেলা মুছাপুর ইউপির পিচকামতাল গ্রামের কানার বাড়ির ভাড়াটিয়া মিলন হোসেনের ছেলে মাঈনুল লাঙ্গলবন্দ নগর এলাকায় খাজা আব্দুর রশিদের বাড়ির সামনে দাড়িয়ে ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার সকালে মঈনুলকে ইয়াবা বিক্রি করতে বাধা দেয় খাজা রশিদ।
পরে মঈনুল তার ভাই পারভেজ ও মিলন হোসেন সহ ১০/১২ জন মিলে খাজা রশিদের বসত বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা খাজা রশিদকে মারধর শুরু করলে বাবাকে বাঁচাতে তার মেয়ে রুজিনা (৩৫) এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাথারী কিল ঘুষি ও লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নিলাফুলা জখম করে।
এক পর্যায়ে হামলাকারীরা বসত ঘরে অনধিকারে প্রবেশ করে ঘরের আলমারীর ড্রেয়ার খুলে রক্ষিত নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা, ১ জোড়া স্বর্ণের জিনিস ও ঋত ঠঢ৪ একটি মোটর সাইকেল ভাংচুর সহ ৮ লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে মাদক কারবারি সিন্ডিকেট।
আহতদের স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেছেন। কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জহিরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এসময় ভাংচুরে ক্ষতিগ্রস্থ একটি মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন
বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) নিয়োগবিধিতে সমন্বিত বিএসসি ডিগ্রি অন্তর্ভুক্ত না করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।
আরো পড়ুন:
সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন
ইবিতে ছাত্রীর পোশাক নিয়ে শিক্ষকের কটূক্তি, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘অধিকারের নামে কেন এই বৈষম্য?’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারী ছাত্র-ছাত্রী চাই ন্যায্য সম্মান’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি অপরাধ নয়’, ‘ভেটেরিনারি একটাই পরিবার, কম্বাইন্ড ডিগ্রিতে সমান অধিকার’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারী ছাত্র-ছাত্রী চাই ন্যায্য সম্মান’, ‘ভেটেরিনারি পরিবারে সমান অধিকার’, ‘সমন্বিত শিক্ষা দেশের সম্মান’, ‘আদিম পশু পালনে নয়, বরং সমন্বিত ভেটেরিনারি শিক্ষা দেশের সম্মান’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগবিধি সংশোধন না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এ সময় গবি ছাত্র সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারীদের নিয়োগে বৈষম্য করছে। এটি আমাদের প্রতি স্পষ্ট অবিচার। আমরা ইতোমধ্যে প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ম্যামসহ বিএলআরআই কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু তারা বারবার বিষয়টি উপেক্ষা করছে। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।”
আরেক শিক্ষার্থী মো. মাহিদুজ্জামান সিয়াম বলেন, “দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থে ২০১৬ সালে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর উদ্যোগে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও এই কোর্স চালু করা হয়। আমরা পশু চিকিৎসা ও পশু পালন—উভয় বিষয়ে সমন্বিত জ্ঞান অর্জন করি। অথচ বিএলআরআই আমাদের কোনো গবেষণা বা চাকরির সুযোগ দিচ্ছে না। এটি বৈষম্যমূলক ও স্বৈরাচারী আচরণ।”
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেন এবং সমস্যার দ্রুত সমাধানে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী