সাইফ তারকা বলে তাকে নিয়ে এত অলোচনা: শাহিদ কাপুর
Published: 25th, January 2025 GMT
নিজ বাড়িতে সাইফ আলী খান যখন হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, তখন তাকে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন অভিনেতা শাহিদ কাপুর। সেখানে সাইফের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেন তিনি। নায়ক বাড়ি ফেরার পর এক সাক্ষাৎকারে সাইফের ঘটনা প্রসঙ্গে আরও কিছু কথা বলেন অভিনেতা শাহিদ কাপুর।
তার কথার মানে এই দাঁড়ায়, এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনায় শুধু সাইফের ক্ষেত্রেই নয়, সবার ক্ষেত্রেই উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।
শাহিদ বলেন, ‘এটা যে কারো সঙ্গেই হতে পারে। যদিও মুম্বাই খুব নিরাপদ শহর, তাই অত্যন্ত এই মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা সকলেই খুব অবাক। এমন অনেক শহর রয়েছে যেখানে এই বিষয়গুলো ঘটেই থাকে, সেখানে এই সব ঘটনা ঘটা খুব একটা বড় ব্যাপার নয়। তবে এটা যে কারো সঙ্গেই হতে পারে। আমি বলব না যে সেলিব্রিটিরা সফট টার্গেট।’
শাহিদ কাপুর বলেন, ‘অনেক মানুষ আছেন যারা সম্ভবত একই রকম পরিস্থিতিতে পড়েন। এমনকি যদি এটি কোনো সাধারণ ব্যক্তির সঙ্গে ঘটে থাকে, তাও আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। কারণ সাইফ একজন সেলিব্রিটি, তাই ওকে নিয়ে এত অলোচনা হচ্ছে। তবে যেটাই ঘটেছে তাতে সবাই মর্মাহত। সাইফ বাড়ি ফিরেছেন, ভালো আছেন দেখে আমরা সবাই খুশি।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’