সোয়া এক ঘণ্টা পর রাজধানীতে মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। উত্তরা উত্তর স্টেশনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাময়িকভাবে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।

তিনি জানান, শনিবার দুপুর ১টা ৩২ মিনিট থেকে ২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাময়িকভাবে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ৪০ মিনিট বন্ধ থাকার পর পল্লবী স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কিছুটা পথে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়। পরে ২টা ৫০ মিনিট থেকে উত্তরা থেকে মতিঝিল পথে মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ওই সিগন্যাল সিস্টেমে পাওয়ার সাপ্লাই হয় দুটি ট্রান্সফর্মার থেকে। এর মধ্যে একটিতে সমস্যা হয়েছিল।

এর আগে দুপুর সোয়া ১টার পর থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাময়িকভাবে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তখন কোনো স্টেশন থেকেই যাত্রীরা প্ল্যাটফর্মে উঠতে পারেননি। সকালেও এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়।

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানায়, সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ কারণে ওই স্টেশনে যাত্রীর চাপ বেশি ছিল। যাত্রীতে পরিপূর্ণ ছিল ট্রেনগুলো।

কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে সকালে ট্রেনের দরজা বন্ধ হয়নি। ফলে বেশি সময় দরজা আটকে থাকায় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের পর থেকে ১০ মিনিট মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। পরে আবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

এরপর সোয়া ১টার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচলে ফের বিঘ্ন ঘটে। ঘণ্টাখানেকের মতো বন্ধ থাকার পর আড়াইটার দিকে মতিঝিল থেকে পল্লবী পর্যন্ত আবারও মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়। পরে ২টা ৫০ মিনিট থেকে উত্তরা থেকে মতিঝিল পথে মেট্রোরেল চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ