দেশ থেকে চুরি করা টাকা দিয়ে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছেন হাসিনা: সারজিস আলম
Published: 25th, January 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, শুধু দেশে না, চক্রান্ত এখন দেশের বাইরে থেকে হচ্ছে। খুনি হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের যে লক্ষ কোটি টাকা চুরি করে নিয়ে গিয়েছেন, সেগুলো দিয়ে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছেন, চক্রান্ত করছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর তাদের জায়গা থেকে সচেতন থাকা প্রয়োজন যে, আমাদের ভেতরের কোন চিন্তা বা মতপার্থক্যের সুযোগ বাইরের কেউ নিচ্ছে কি না।
শনিবার দুপুরে পঞ্চগড় রেলস্টেশনের সৌন্দর্যবর্ধন কাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় জেলা প্রশাসক মো.
সারজিস আলম বলেন, আমরা যেন আমাদের কথা, মতামত বা পদক্ষেপের মাধ্যমে নতুন করে আবার ওই ফ্যাসিস্ট বা তাদের কোন দোসরকে সুযোগ না দেই। তারা তো চাইবে আমাদের ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরাতে। এই ফাটলের সুযোগে আমরা নিজেরা বিভাজনে লিপ্ত হব। তারা এই সুযোগটা নিয়ে তাদের স্বার্থ হাসিল করবে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি, এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জাতীয় ঐক্য। জাতীয় ঐক্যের জন্য সবার আগে কোন গোষ্ঠী, দল, ব্যক্তি এসবের স্বার্থের আগে বাংলাদেশের স্বার্থ চিন্তা করতে হবে এবং আমরা যদি এখন সেটা চিন্তা করতে পারি, তাহলে যে বাংলাদেশ আমরা প্রত্যাশা করি অভ্যুত্থানের যে স্পিরিট, সেটা সফল হওয়া সম্ভব।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেছেন, কোন দেশে এই রকম বিপ্লব হলে সেখানে বাহিনীই থাকে না। তারা আমাদের সন্তান। যারা অন্যায়ের লোকজন ছিল, তাদের একের পর এক শাস্তি হচ্ছে। পুলিশ বিভাগ পুনর্গঠন হচ্ছে। তারা শিগগির মানুষের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করবে।
পুলিশ, র্যাব ও আনসারের পোশাক নিয়ে সামাজিক গণমাধ্যমে মন্তব্য সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, মানুষ পক্ষে বিপক্ষে বলবে এটাই ডেমোক্রেসি। কেউ বলছে এটা হয়নি। আবার কেউ বলবে, এটা ভালো হয়েছে। আরেকজন বলেছে এটা কিছুই হয়নি, তোমরা আবার নতুন করে বানাও। এগুলো কথাবার্তা তো চলবে। আমরা কারোর মুখ চেপে ধরছি না। সরকার চায় সবাই বলুক।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’