সাতছড়িতে বন্যশুকর শিকার করে মাংস ভাগ বাটোয়ারা, আটক ৪
Published: 26th, January 2025 GMT
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট-মাধবপুরে অবস্থিত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বন্যশুকর শিকার করে মাংস ভাগ বাটোয়ারাকালে ৪ জন আটক করে মামলা দিয়েছে বন বিভাগ।
আসামিরা হলেন- জেলার মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগানের মহাজিল গ্রামের বাসিন্দা মন্টু বাকতি, বিপন হাজদা, রতন মৃধা ও শুকরাম সাঁওতাল।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সাতছড়ি বন্যপ্রাণি রেঞ্জের তেলমাছড়া বিটের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বন্যপ্রাণি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে বন্যশুকরের মাংস ভাগ বাটোয়ারা করার সময় বন বিভাগের কর্মকর্তারা তাদের আটক করেন।
অভিযোগ রয়েছে, একটি চক্র নানা সময়ে সাতছড়ি বনে ফাঁদ পেতে মায়া হরিণ ও বন্যশুকর শিকার করে মাংস বিক্রি করছে। এতে বন্যপ্রাণি হুমকির মুখে পড়েছে।
শনিবার রাতে বিট কর্মকর্তা মেহেদি হাসান বলেন, “ইদানিং সাতছড়ি উদ্যানে বিপন্ন প্রজাতির ভালুকের অস্তিত্ব পাওয়া যাওয়ায় আমরা টহল জোরদার করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা ৪ জনকে আটক করে বন্যপ্রাণি আইনে মামলা দিয়েছি। আমরা বন ও বন্যপ্রাণি রক্ষায় কাজ করছি।”
এদিকে পাখি প্রেমিক সোসাইটির যুগ্ম-আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ পাল বলেন, “একটি সংঘবদ্ধ চক্র রঘুনন্দন পাহাড় ও সাতছড়ি উদ্যানে বন্যপ্রাণি শিকার ও পাচার করছে। গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে এদের আইনের আওতায় এনে সাজা দেওয়া প্রয়োজন।”
ঢাকা/মামুন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’