বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসর আবারও ফিরেছে ঢাকায়। প্রথম পর্বের খেলা শেষে সিলেট এবং চট্টগ্রাম হয়ে রোববার (২৬ জানুয়ারি) থেকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকার দ্বিতীয় পর্ব।  

লিগ পর্বের গুরুত্বপূর্ণ দিনে আজ মাঠে নামছে চারটি দল। দিনের প্রথম ম্যাচে ফরচুন বরিশাল মুখোমুখি হবে সিলেট স্ট্রাইকার্সের। ডাবল রাউন্ড রবিন লিগে বরিশালের প্লে-অফ নিশ্চিত করতে আর মাত্র একটি জয় প্রয়োজন। অন্যদিকে, টেবিলের শীর্ষে থাকা রংপুর রাইডার্স ছাড়া বাকি ছয় দলেরই প্লে-অফে যাওয়ার সুযোগ রয়ে গেছে।  

বিপিএলের এবারের আসরের একটি ইতিবাচক দিক হলো, ভালো মানের উইকেটে খেলা হওয়া। ব্যাটাররা মন খুলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন, ফলে তিন ভেন্যুতেই রান এসেছে প্রচুর। ক্রিকেটারদের মধ্যেও এই নিয়ে সন্তুষ্টি লক্ষ্য করা গেছে।  

ফরচুন বরিশালের অভিজ্ঞ আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবিও প্রশংসা করেছেন পিচের মান নিয়ে। গতকাল দলের অনুশীলন শেষে নবি বলেন, ‘এবারের পিচগুলো তুলনামূলক ভালো হয়েছে। প্রতিটি ম্যাচের জন্য ভালো উইকেট প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনটি ভেন্যুর পিচ এবার বেশি বিশ্রাম পেয়েছে, ফলে মানও উন্নত। আমরা সেরা দুইয়ে থাকতে চাই। সামনে চারটি ম্যাচ এবং প্লে-অফ ঢাকাতেই হবে, তাই এখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে আমরা বেশ পরিচিত।’

দিনের আরেক ম্যাচে টেবিলের শীর্ষে থাকা রংপুর রাইডার্স মুখোমুখি হবে দুর্বার রাজশাহীর। এই ম্যাচেও উত্তেজনার কোনো কমতি থাকবে না বলে আশা করা হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব

সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।

বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।

সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।

আরো পড়ুন:

যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ

পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার

কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।

এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।

এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের
  • অবশ্যম্ভাবী নাটকীয়তায় জমজমাট আইপিএল, দেখে নিন সমীকরণ
  • জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব