বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরে এখন পর্যন্ত ৩৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্লে-অফ ও ফাইনাল মিলিয়ে বাকি আছে আর ১২টি ম্যাচ। তবে ঢাকা ক্যাপিটালসের জন্য এই সংখ্যা মাত্র দুই। প্লে-অফে যেতে হলে এই দুই ম্যাচেই জয়ের পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে হবে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর ফলাফলের দিকে।

এই পরিস্থিতিতে শেষ মুহূর্তে নিজেদের প্রস্তুতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে এক অস্ট্রেলিয়ান উপস্থাপককে নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে দলটি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।  

ঢাকা ক্যাপিটালসের নতুন উপস্থাপক কেজিয়া ডাউন অস্ট্রেলিয়ার পরিচিত সংবাদ উপস্থাপক ও ক্রীড়া ইভেন্ট হোস্ট। যদিও তার বিশেষ দক্ষতা ও আগ্রহ মোটরস্পোর্টসে, তবু কেজিয়া এবার বিপিএলের মতো এক ভিন্নধর্মী টুর্নামেন্টে কাজ করবেন।  

২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল লিগের (এএফএল) আদিবাসী খেলোয়াড়দের নিয়ে সংবাদ পরিবেশনার জন্য সেরা ক্রীড়া সাংবাদিকের পুরস্কার জিতেছিলেন কেজিয়া। প্রাণবন্ত উপস্থাপনা ও সাবলীল বাচনভঙ্গির কারণে অস্ট্রেলিয়ায় তার জনপ্রিয়তা বেশ।  

উল্লেখ্য, বিপিএলের এবারের আসরে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো নিজ নিজ উপস্থাপক নিয়োগের দিকে নজর দিয়েছে। প্রথম বিদেশি উপস্থাপক হিসেবে চমক দেখায় চিটাগাং কিংস, যারা ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান মডেল ইয়েশা সাগরকে নিয়োগ দেয়। সিলেট স্ট্রাইকার্স স্থানীয় সঞ্চালক স্মিতা চৌধুরীকে দায়িত্ব দেয়। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো ঢাকার নাম।

এদিকে পয়েন্ট তালিকার ছয় নম্বরে থাকা ঢাকা ক্যাপিটালস ১০ ম্যাচে ৩ জয়ে সংগ্রহ করেছে ৬ পয়েন্ট। তাদের পরের রাউন্ডে ওঠার সম্ভাবনা এখন অনেকটাই যদি-কিন্তুর সমীকরণে আটকে আছে। শেষ দুই ম্যাচে জয় পেলেও দুর্বার রাজশাহী ও খুলনা টাইগার্স নিজেদের বাকি ম্যাচে হারলেই কেবল প্লে-অফের সুযোগ থাকবে ঢাকার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ক য প ট লস

এছাড়াও পড়ুন:

ঘাড়ব্যথার কারণগুলো কী কী, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা জেনে রাখুন

অনেক কারণে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—

১. সারভাইক্যাল স্পন্ডেলোসিস

২. সারভাইক্যাল স্পন্ডেলোসিস

৩. সারভাইক্যাল রিবস

৪. সারভাইক্যাল ক্যানেল স্টেনোসিস বা স্পাইনাল ক্যানাল সরু হওয়া

৫. সারভাইক্যাল ডিস্ক প্রলেপস বা হারনিয়েশন যেখানে হারনিয়াটেড ডিস্ক নার্ভের ওপর চাপ প্রয়োগ করে

৬. মাংসপেশি, হাড়, জোড়া, লিগামেন্ট, ডিস্ক (দুই কশেরুকার মাঝখানে থাকে) ও স্নায়ুর রোগ বা ইনজুরি

৭. অস্বাভাবিক পজিশনে নিদ্রা

৮. উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্‌রোগ

৯. হাড় ও তরুণাস্থির প্রদাহ এবং ক্ষয়

১০. অস্টিওপরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় ও ভঙ্গুরতা রোগ

১১. হাড় নরম ও বাঁকা হওয়া

১২. রিউমাটয়েড-আর্থ্রাইটিস ও সেরো নেগেটিভ আর্থ্রাইটিস

১৩. সারভাইক্যাল অস্টিও-আর্থ্রাইটিস

১৪. ফাইব্রোমায়ালজিয়া

১৫. সামনে ঝুঁকে বা পাশে কাত হয়ে ভারী কিছু তুলতে চেষ্টা করা

১৬. হাড়ের ইনফেকশন

১৭. ডিস্কাইটিস (ডিস্কের প্রদাহ)

১৮. পেশাগত কারণে দীর্ঘক্ষণ ঘাড় নিচু বা উঁচু করে রাখলে ইত্যাদি।

উপসর্গ

ঘাড়ব্যথা কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুল পর্যন্ত ছড়াতে পারে।

কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুলে অস্বাভাবিক অনুভূতি বা অবশ ভাব।

বাহু, হাত ও আঙুল দুর্বল হতে পারে।

সব সময় ঘাড় ধরে বা জমে আছে মনে হয়।

ঘাড়ের মুভমেন্ট করলে, ঘাড় নিচু করে ভারী কিছু তোলার পর তীব্র ব্যথা।

হাঁচি, কাশি দিলে বা সামনে ঝুঁকলে ব্যথা বেড়ে যায়।

ব্যথা মাথার পেছন থেকে শুরু হয়ে মাথার সামনে আসতে পারে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা

ঘাড়ব্যথার কারণ নির্ণয় করার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরি পরীক্ষা হতে পারে—রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা, ঘাড়ের এক্স-রে, এমআরআই বা সিটি স্ক্যান।

চিকিৎসা

চিকিৎসা এর কারণগুলোর ওপর নির্ভর করে।

কনজারভেটিভ চিকিৎসা: ১. ব্যথা বা প্রদাহনাশক ওষুধ ২.ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা। বিভিন্ন ধরনের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা যেমন ম্যানুয়াল বা ম্যানুপুলেশন থেরাপি, থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রোমেডিকেল ইকুইপমেন্ট যেমন ইন্টারফ্যারেনশিয়াল থেরাপি, অতি লোহিত রশ্মি, মাইক্রোওয়েভ ডায়াথারমি, আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি, শর্টওয়েভ ডায়াথার্মি ও ইন্টারমিটেন্ট ট্র্যাকশন ইত্যাদির মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়।

সার্জিক্যাল চিকিৎসা: মেডিকেল চিকিৎসায় ভালো না হলে, ব্যথা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকলে, স্নায়ু সমস্যা দেখা দিলে, বাহু, হাত ও আঙুলে দুর্বলতা এবং অবশ ভাব দেখা দিলে এবং প্রস্রাব বা পায়খানার নিয়ন্ত্রণ না থাকলে দ্রুত সার্জিক্যাল চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

ঘাড়ব্যথা প্রতিরোধে করণীয়

১. সামনের দিকে ঝুঁকে দীর্ঘক্ষণ কাজ করবেন না।

২. মাথার ওপর কোনো ওজন নেবেন না।

৩. প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিতে হবে।

৪. শক্ত বিছানায় ঘুমাবেন।

৫. শোবার সময় একটা মধ্যম সাইজের বালিশ ব্যবহার করবেন, যার অর্ধেকটুকু মাথা ও অর্ধেকটুকু ঘাড়ের নিচে দেবেন।

৬. তীব্র ব্যথা কমে গেলেও ঘাড় নিচু বা উঁচু করা, মোচড়ানো (টুইসটিং) বন্ধ করা।

৭. সেলুনে কখনোই ঘাড় মটকাবেন না।

৯. কাত হয়ে শুয়ে পড়বেন না বা টেলিভিশন দেখবেন না।

১০. কম্পিউটারে কাজ করার সময় মনিটর চোখের লেভেলে রাখবেন।

১১. গরম প্যাড, গরম পানির বোতল দিয়ে গরম সেঁক দেবেন।

১২. ঘাড়ের পেশি নমনীয় ও শক্তিশালী হওয়ার ব্যায়াম করতে হবে।

এম ইয়াছিন আলী, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ঢাকা

আরও পড়ুনকাঁধের ব্যথা বা কাঁধ জমে যাওয়ার কারণ ও করণীয়১৭ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ