নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, আগামীতে একটা সুষ্ঠু, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য ও প্রশ্নহীন নির্বাচন আয়োজন করা আমাদের প্রত্যাশা। এই ধরনের নির্বাচনের প্রথম শর্তই হচ্ছে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠ ভোটার তালিকা। বিগত নির্বাচনগুলোর থেকে আসন্ন নির্বাচনে সাংবাদিকরা সর্ব্বোচ্চ প্রবেশাধিকার পাবেন। আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। নির্বাচন কাজে ব্যাঘাত না ঘটিয়ে সাংবাদিকরা নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারবেন আমরা এমনটা ভেবেছি। আমাদের জনপ্রশাসনের সংস্কারের এমন প্রস্তাবও এসেছে। রোববার দুপুরে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজ হল রুমে নতুন ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভোট যখনই হোক আমাদের একটা ভোটার তালিকা প্রযোজন হবে। এই ভোটার তালিকা নিয়ে কিছু অভিযোগ আছে সেগুলো নিরসন করতে হবে। আমাদের কমিশন সভার সিদ্ধান্ত মতে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হবে। নির্দিষ্ট সময়ে খসড়া তৈরি পর ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা হয়ে যাবে। ভোটার তালিকা নিয়ে অভিযোগ কাটিয়ে ওঠার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ করা হবে। ভুয়া ভোটার তালিকা, মৃত ভোটারদের উপস্থিতি, বিদেশি নাগরিকদের উপস্থিতি, দ্বৈত ভোটারদের উপস্থিতি- এগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্যই ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে।

আবুল ফজল মো.

সানাউল্লাহ বলেন, নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্বাচন কমিশনের হাতে নয়। তবে প্রধান উপদেষ্টা যেমনটা বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে যেকোনো সময় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এই টাইম ফ্রেমকে ধরে নির্বাচন আয়োজন করা। এ সময় কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উত্তম কুমার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরানসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপস থ ত

এছাড়াও পড়ুন:

ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ

বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।

এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।

জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ

বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ