নব্বই দশকের লাস্যময়ী ও সাহসী অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। অক্ষয় কুমার, আমির খান, সালমান খান, গোবিন্দ, সঞ্জয় দত্তের মতো তারকা শিল্পীদের সঙ্গে জুটি বেঁধে পর্দায় ঝড় তুলেছেন। কয়েক দিন আগে আলো ঝলমলে দুনিয়াকে বিদায় জানিয়ে সন্ন্যাসিনী হয়েছেন এই অভিনেত্রী।

সন্ন্যাসিনী হওয়ার পর প্রথমবার নীরবতা ভাঙলেন মমতা। ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে আলাপকালে মমতা কুলকার্নি বলেন, “আমি আবার সিনেমায় অভিনয় করব তা কল্পনাও করতে পারছি না। আমার পক্ষে এটি এখন একেবারেই অসম্ভব।”

অলিম্পিক পদক জয়ের উদাহরণ টেনে মমতা কুলকার্নি বলেন, “কিন্নর আখড়ার মানুষেরা ভগবান শিব, দেবী পার্বতীর অর্ধনারেশ্বর অবতারের প্রতিনিধিত্ব করে। এই আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর হওয়া আমার ২৩ বছরের আধ্যাত্মিক সাধনার পর অলিম্পিক পদকের মতো।”

আরো পড়ুন:

যে তারকারা পাচ্ছেন পদ্ম পুরস্কার

লাস্যময়ী মমতা এখন সন্ন্যাসিনী

কিন্নর আখড়ার অংশ হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে মমতা কুলকার্নি বলেন, “দেবী আদিশক্তির আশীর্বাদে আমি এই সম্মান পেয়েছি। আমি কিন্নর আখড়ার অংশ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ এটি স্বাধীনতার প্রতিনিধিত্ব করে। এখানে কোনো বিধিনিষেধ নেই।”

আধ্যাত্মিকতা ভাগ্যগুণে পাওয়া যায়। তা উল্লেখ করে মমতা কুলকার্নি বলেন, “বিনোদনসহ আপনার জীবনে সবকিছুই প্রয়োজন। আপনার চাহিদা স্বীকার করা উচিত। কিন্তু আধ্যাত্মিকতা এমন একটি ব্যাপার, যা আপনি শুধু ভাগ্যেগুণে অর্জন করতে পারবেন। সিদ্ধার্থ (রাজপুত্র সিদ্ধার্থ গৌতম যিনি ভগবান বুদ্ধ হয়েছিলেন) তার জীবনে সবকিছু দেখেছিলেন, তারপর পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।”

গত ২৪ জানুয়ারি ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ বা এলাহাবাদে গিয়ে মহাকুম্ভে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেন শাহরুখের নায়িকা মমতা।

মহাকুম্ভের কিন্নর আখড়াতে ‘মহামণ্ডলেশ্বর’ রীতির মাধ্যমে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন মমতা। এদিন পিণ্ডদানও করেন তিনি। এই রীতির মাধ্যমে নতুন নামও গ্রহণ করেছেন। তার নতুন নাম— শ্রী ইয়মাই মমতা নন্দ গিরি।

২০১৬ সালে থানে পুলিশ ২ হাজার কোটি রুপির একটি মাদক পাচার চক্রের তদন্ত শুরু করে; যেখানে মমতার নাম জড়িয়ে পড়ে। মূলত, মমতা কুলকার্নি ও তার সঙ্গী কথিত মাদক সম্রাট ভিকি গোস্বামীকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। এ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। গত বছরের শেষের দিকে এ মামলা থেকে খালাস পান এই অভিনেত্রী। কিন্তু ২৪ বছর এই অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদেশে কাটিয়ে গত বছর ভারতে ফিরেন মমতা।

১৯৯২ সালে রাজ কুমার ও নানা পাটেকরের ‘তিরঙ্গা’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়জীবন শুরু করেন মমতা কুলকার্নি। নব্বইয়ের দশকে ‘করণ অর্জুন’, ‘ওয়াক্ত হামারা হ্যায়’, ‘ক্রান্তিবীর’, ‘সাবছে বড় খিলাড়ি’-এর মতো হিট সিনেমার নায়িকা তিনি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আখড় র

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় যুবশক্তি'র নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

জাতীয় যুবশক্তি'র নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৬ জুন) বিকেলে মাসদাইর অক্টো অফিস এলাকায় পৌর স্টেডিয়াম মিলনায়তন কক্ষে এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক নিরব রায়হানের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টি'র কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ও শৃঙ্খলা উপকমিটির প্রধান আব্দুল্লাহ আল আমিন। 


তিনি তার বলেন, 'জাতীয় যুবশক্তি জাতীয় নাগরিক পার্টির সবচেয়ে বড় শক্তি। জাতীয় যুবশক্তির হাত ধরেই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পথে আমরা বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবো। এবং আমরা সংগঠনের একে অন্যের সহযোগিতায় দুর্বার এগিয়ে আসবো।

রাজনীতির মাঠে আমাদের কোনো সহযোদ্ধাকে যদি কেউ প্রতিহত করতে চায়, আমরা সবাই মিলে কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। 

যেন দ্বিতীয়বার এমন দুঃসাহস কেউ না দেখাতে পারে' উক্ত সমন্বয় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক তুহিন মাহমুদ, সিনিয়র সংগঠক ইয়াছিন আরাফাত এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু। 

একইসাথে জাতীয় যুবশক্তি এগিয়ে যেতে পরামর্শ গ্রহণ করা হয় নারায়ণগঞ্জ জেলার এনসিপির সকল উপজেলার সমন্বয়কারীদের ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের। 

শুভেচ্ছা বক্তব্য রেখেছেন জাতী যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক সাইফুল ইসলাম রোমান। তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি বলেন, এই সমন্বয় সভা আমাদের জাতীয় যুবশক্তিকে নারায়ণগঞ্জে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংগঠিত করতে সহযোগিতা করবে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ