নতুন সিনেমা নির্মাণ করছেন নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার। নাম ‘ইনসাফ’। সিনেমাটিতে নায়ক হিসেবে থাকবেন শরীফুল রাজ। গুঞ্জন হিসেবে খবরটি এতোদিন চলে আসলেও সূত্রের বরাতে এবার এবার নিশ্চিত হওয়া গেল। সিনেমাটিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে থাকছেন মোশাররফ করিম। এতে তিনি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করছেন বলেও নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। ইতোমধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর পর্বও সেরে নিয়েছেন তারা। 

নতুন খবর হচ্ছে এই সিনেমায় শরীফুল রাজের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে থাকছেন তাসনিয়া ফারিণ। আর এই সিনেমার মাধ্যমেই ঢাকার চলচ্চিত্রের পুরোপুরি কমার্শিয়াল সিনেমার নায়িকা হিসেবে অভিষেক হচ্ছে তার। 

যদিও ফারিণের নায়িকা হওয়ার বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাননি পরিচালক সঞ্জয় সমদ্দার। শুধু জানিয়েছেন, বেশ কজন অভিনেত্রীর সঙ্গে কথাবার্তা হচ্ছে। চূড়ান্ত না হলে কিছুই বলতে পারছি না। 

সমকালকে নির্মাতা বলেন, একটা সিনেমা নির্মাণের আগে তো অনেকের সঙ্গেই কথা হয়। অডিশন পর্ব হয়। এরমধ্যে থেকে যার সঙ্গে ব্যাটেবলে মিলে যায় তখনই তাকে কাস্ট করা হয়। আমি এখন সে পক্রিয়ার মধ্য দিয়েই যাচ্ছি। শিগগিরই সিনেমার নাম ও  অফিসিয়ালি জানাব।’

সিনেমাটি প্রযোজনা করছে তিতাস কথাচিত্র।  এই সিনেমার মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর নতুন সিনেমায় প্রযোজনায় ফিরছে প্রতিষ্ঠানটি। 

ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন থেকেই সিনেমাটির শুটিং শুরুর কথা রয়েছে। বড় কোনো উৎসবে মুক্তির লক্ষ্যেই সিনেমাটি নির্মাণ হচ্ছে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন পরিচালক। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন ম হল

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতে ক্ষোভ, কী বলেছেন তিনি

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত আলোচনার কেন্দ্রে আসেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খবরের শিরোনাম হয়ে উঠেছেন তিনি—শুধু পাকিস্তানে নয়, সীমানা পেরিয়ে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রেও।

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আসিম মুনির। তাঁর এসব মন্তব্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এটির একেক অংশ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে এ ভূখণ্ড।

জেনারেল মুনিরের বক্তব্য যদিও প্রত্যক্ষভাবে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তবু তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে বেশি আগ্রাসী মনোভাবের হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও অপসারণে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী নানা ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী এ দুই দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি।

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল মুনির। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে প্রকাশ্যে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে তাঁর একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে মনোযোগ কেড়েছে।

আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট২৯ এপ্রিল ২০২৫

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

জেনারেল মুনিরের এ বক্তব্যের সঙ্গে পেহেলগামে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকতে পারে। কেননা পাকিস্তানের নেতারা অনেক বছর ধরেই এমন ধরনের আদর্শিক বক্তব্য–বিবৃতি দিয়ে আসছেন।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার স্থলে ছড়িয়ে আছে চেয়ার–টেবিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ