গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি বহাল দাবিতে ইউজিসির সামনে শিক্ষার্থীরা
Published: 26th, January 2025 GMT
২৪ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি বহাল রাখার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সামনে অবস্থান নিয়েছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। গুচ্ছ ভর্তি বহাল রেখে রাষ্ট্রপতির আদেশ ছাড়া তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে তারা লং মার্চ নিয়ে ইউজিসির সামনে যান। এরপর সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
দুপুর ১২টার দিকে সেখানে আসেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপরও আন্দোলনকারীরা তা মানেননি।
এদিকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। ‘শিক্ষা না বাণিজ্য, শিক্ষা শিক্ষা’, ‘মোদের দাবি একটাই, ২৪টাই থাকতে হবে’, ‘ব্যবসা না গুচ্ছ, গুচ্ছ গুচ্ছ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও ইউজিসি চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি জমা দিবেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
দুপুরেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে আগ্রহ প্রকাশ করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.
শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া সিয়াম ইউজিসি কার্যালয়ে প্রবেশ করার আগে বলেন, আমাদের একটাই দাবি হলো- ২৪ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েই গুচ্ছ থাকতে হবে। এ নিয়ে দ্রুত রাষ্ট্রপতির আদেশ জারি করতে হবে। এ দাবিই আমরা ইউজিসি চেয়ারম্যানকে জানাবো৷ আমরা উনি যদি আমাদের দাবি মেনে নেন, আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যাবো। আর দাবি না মানলে আন্দোলন চালয়ে যাবে।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও ইউজিসি চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি জমা দিবেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
শেরেবাংলা থানার এসআই আব্দুল খালেক সমকালকে বলেন, আজ সকালে অনেক শিক্ষার্থী ইউজিসির সামনে অবস্থান নেন। কিছু শিক্ষার্থী চলে গেছেন। এখন কয়েকন এখানে অবস্থান করছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউজ স অবস থ ন ন ইউজ স
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।
আরো পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।
যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।
বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।
ঢাকা/আমিনুল