কৃষক বাবার সন্তান উত্তম রায়। পড়াশোনা করছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষে।

অস্বচ্ছল পরিবারে বেড়ে ওঠা কৃষকের বাবার এ মেধাবী সন্তানের স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষ করে পরিবারের হাল ধরার। কিন্তু তিনি মরণব্যাধী ক্রোনিক কিডনি ডিজিজে (সিকেডি) আক্রান্ত। এতে তার দুটো কিডনিই অচলপ্রায় হয়ে পড়েছে।

তার জীবন বাঁচানোর শেষ উপায় কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট, যার জন্য প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন। এ ব্যয়ভার তার পরিবারের একার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তাই পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে এবং তাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সবার কাছে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন এ শিক্ষার্থী। 

উত্তম রায়ের সহপাঠী রতন সাহা বলেন, “চিকিৎসক যখন আমার বন্ধুর দুইটি কিডনি ড্যামেজের বিষয়টি জানালেন, তখন আরো স্পষ্ট হওয়ার জন্য ভারত গিয়ে পরীক্ষা করেছে। আসলেই তার কিডনি দুইটি ড্যামেজ। এমতাবস্থায় ওর চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন, যা তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়।”

তিনি বলেন, “আমরা বিভাগ থেকে যতটুকু পারছি, সহযোগিতা করছি। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছ থেকে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, চিকিৎসার জন্য তারা যেন তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করে। সবার সর্বাত্মক সহযোগিতায় আমরা আমাদের সহপাঠীকে নিয়ে আবার নতুনভাবে চলার স্বপ্ন দেখতে পারি।”

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:

বিকাশ/নগদ/রকেট/উপায়- 01781053398 (উত্তম রায়), 01568774826 (উত্তমের বাবা)

ব্যাংক- হিসাবের নাম উত্তম কুমার রায়, হিসাব নম্বর ২০৫০ ১৩৩ ৬৭ ০০৩৯১৫০৫, ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, কুষ্টিয়া শাখা।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব র র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ