বান্দরবানের বিভিন্ন স্থান থেকে ডাকাত চক্রের মূলহোতাসহ সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে চারটি মোটরসাইকেল, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও ডাকাতিকালে ব্যবহৃত একটি পোর্টেবল স্টিক উদ্ধার করা হয়। 

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে বান্দরবান পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো.

শহীদুল্লাহ কাওছার এসব তথ্য জানান। 

গ্রেপ্তার সাতজন হলেন- মো. খায়রুল আমিন (২১), জাহিদুল ইসলাম মানিক (২২), মো. সালাউদ্দিন (২৫), মো. দিদার (২৫), হাবিবুর রহমান (২০), আনোয়ার হোসেন (২৫) ও আবু শরীফ (২২)। তারা সবাই বান্দরবান জেলার লামা ও কক্সবাজার জেলার চকরিয়া এলাকার বাসিন্দা।

সংবাদ সম্মেলনে বান্দরবান পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাউছার বলেন, “গত ৪ জানুয়ারি ইফসা এনজিও কর্মীকে থামিয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সে অভিযোগের প্রক্ষিতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পৃথক জায়গা থেকে চকরিয়া লোহাগাড়াসহ আশপাশের এলাকায় মূলহোতাসহ সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।”

পুলিশ সুপার আরও বলেন, “বান্দরবানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”

ঢাকা/চাইমং/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ন দরব ন সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ