দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৫
Published: 26th, January 2025 GMT
দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছে এবং ৮০ জনেরও বেশি আহত করেছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রবিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও এবং হিজবুল্লাহকে এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লেবাননের কিছু অংশে অবস্থান করছে।
ইসরায়েল জানিয়েছে,হিজবুল্লাহর সাথে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি এবং লেবাননে তাদের কতজন সেনা রয়ে গেছে বা কতদিন থাকবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী দখলদারিত্বাধীন স্থানে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় লোকজনের উপর হামলা চালিয়েছে।
লেবাননের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে তাদের একজন সেনা নিহত এবং আরেকজন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ লেবাননের ‘বিভিন্ন এলাকায় সতর্কীকরণ গুলি’ চালিয়েছে। তবে কেউ আহত হয়েছে কিনা তা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। ‘আসন্ন হুমকি’ হওয়ায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ব নন র ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’