পাচার অর্থের সন্ধানে তিন অডিট ফার্ম নিয়োগ
Published: 26th, January 2025 GMT
দেশের ব্যাংক খাত থেকে পাচার হওয়া ১৭ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের সন্ধানে বিশ্বের বড় তিনটি অডিট ফার্মকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফার্মগুলো হলো– ইওয়াই, কেপিএমজি ও ডেলয়েট। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠরা এই অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর লন্ডনভিত্তিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন।
গভর্নর বলেন, অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে চায় বাংলাদেশ। লোপাট হওয়া অর্থ দিয়ে কেনা সম্পদের হদিস ও পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ১১টি যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে চরম খারাপ অবস্থায় পড়া ব্যাংকগুলোর বড় ঋণ ধরে ধরে তথ্য যাচাই করছে আন্তর্জাতিক অডিট ফার্ম। ব্যাংকগুলোর পরিচালনায় যুক্তদের ঋণ এবং বন্ধকি সম্পত্তির মূল্য যাচাই হচ্ছে। এভাবে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে সম্পদের তথ্য যাচাই (একিউআর) করে মূলধনের প্রকৃত প্রয়োজনীয়তা বের করবে আন্তর্জাতিক এসব ফার্ম। প্রাথমিক পর্যায়ে এসআইবিএল, গ্লোবাল ইসলামী, আইসিবি ইসলামিক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও এক্সিম ব্যাংকের ওপর কাজ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে পর্ষদ পুনর্গঠন হওয়া অন্য পাঁচ ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাই হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর
* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।
* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।
* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।
শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।
এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।
আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।
গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।
টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল