লা লিগায় টানা ব্যর্থতার পর হতাশা কাটিয়ে জয়ের ধারায় ফিরেছে বার্সেলোনা। নিজেদের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ভ্যালেন্সিয়াকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। এই বিশাল জয়ে বার্সা লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে নিজেদের অবস্থান শক্ত করল।  

ম্যাচের শুরু থেকেই বার্সেলোনার আক্রমণাত্মক ফুটবলে দিশেহারা হয়ে পড়ে ভ্যালেন্সিয়া। মাত্র ৩ মিনিটে ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং-এর গোলে গোলবন্যার সূচনা হয়। লামিন ইয়ামালের নিখুঁত পাস থেকে গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন ডি ইয়ং। ৮ মিনিটে ফেরান তোরেসের বুদ্ধিদীপ্ত ফিনিশিংয়ে ব্যবধান হয় ২-০। ১৪ মিনিটে রাফিনহা স্কোরলাইন বাড়ান ৩-০-তে। ২৪ মিনিটে ফেরমিন লোপেজ গোল করলে প্রথমার্ধেই ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সা। ভ্যালেন্সিয়ার পক্ষে একবার পেনাল্টি দাবি উঠলেও ভিএআর রিভিউয়ের পর তা বাতিল হয়। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে বার্সাকে ৫-০ ব্যবধানে নিয়ে যান লোপেজ।

দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ভ্যালেন্সিয়া। ৫৯ মিনিটে হুগো ডুরো একমাত্র গোলটি করেন তাদের হয়ে। তবে ৬৬ মিনিটে বার্সার ষষ্ঠ গোল করেন রবার্ট লেভান্ডোভস্কি। আর ৭৫ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে সিজার তারেগা বার্সার সাত নম্বর গোলটি উপহার দেন।  

এই জয়ের পর ২১ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে বার্সা তৃতীয় স্থানেই রয়ে গেল। সমান ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, আর ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ ল কর

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ