ইনজুরিতে মিরাজ, স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়লেন খুলনার অধিনায়ক
Published: 27th, January 2025 GMT
প্লে-অফের আশা এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে খুলনা টাইগার্স। তবে টিকে থাকতে হলে নানা সমীকরণ মেলাতে হবে দলকে। এমন অবস্থায় ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
ম্যাচের শুরুতেই ব্যাট হাতে খুলনাকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাইম শেখ। তবে তাদের মধ্যে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় ছিলেন মিরাজ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মোহাম্মদ নবির বলে একটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ১৩ রান তোলেন তিনি। এরপর পঞ্চম ওভারে ফাহিম আশরাফকে টানা দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ঝড় তোলেন খুলনার অধিনায়ক। তবে সেই ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এবাদত হোসেনের বলে মিরাজের পায়ে আঘাত লাগার পর বল স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়। ১৮ বলে ২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে থামেন মিরাজ।
কিন্তু মিরাজের জন্য বিপত্তি শুরু হয় আউট হওয়ার পর। পায়ের ব্যথায় দাঁড়াতে না পেরে মাঠেই বসে পড়েন তিনি। অবস্থা গুরুতর মনে হলে ডাকা হয় স্ট্রেচার, আর সেটিতেই মাঠ ছাড়তে হয় মিরাজকে। মিরাজের ইনজুরি খুলনার জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলটির প্লে-অফের স্বপ্ন পূরণে তার দ্রুত সেরে ওঠা জরুরি।
এই ম্যাচে বরিশাল দলে আনা হয়েছে দুটি পরিবর্তন। একাদশে ফিরেছেন পেসার এবাদত হোসেন ও স্পিনার তানভির ইসলাম। বাদ পড়েছেন রিপন মন্ডল ও তাইজুল ইসলাম। অন্যদিকে, খুলনা টাইগার্স দলে একটি পরিবর্তন দেখা গেছে। মোহাম্মদ নাওয়াজের জায়গায় খেলছেন আমের জামাল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’