দায়িত্ব পালনে অক্ষমতার অভিযোগে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিল করা হয়েছে। 

গত ২৪ জানুয়ারি বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান সওদাগর ও প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুল আলমকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর আজমিরীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু, ৫ বছর ৩ মাসেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও অর্পিত দায়িত্ব পালনে এ কমিটি কোনো সক্ষমতা দেখাতে পারেনি। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন কমিটির মধ্যে একটিরও সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি।

আরো বলা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশের মতো আজমিরীগঞ্জ উপজেলা কমিটিও ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। এ কারণে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে কাউন্সিল-সম্মেলনের বিকল্প নেই। তাই, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটি নির্দেশক্রমে বাতিল করা হলো।

কমিটি বাতিলের এই চিঠির অনুলিপি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা.

এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন ও মিফতাহ সিদ্দিকীকে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/আজহারুল/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ

বাংলায় কথা বললেই পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ ও দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার। আজ সোমবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে সীমান্ত সুরক্ষা ও পুশ ব্যাক বিষয়ে বিধায়কদের আনা প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বাসিন্দা মেহবুব শেখকে (৩৬) ঠেলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে বিএসএফের উত্তরবঙ্গের শাখা। ওই ব্যক্তি মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত ১১ জুন তাকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। 

মেহবুবের ভাই মুজিবুর রহমান জানান, তার বড় ভাইকে গত শুক্রবার ভোর রাতে শিলিগুড়ির বিএসএফ বাংলাদেশে ‘পুশ ব্যাক’ করেছে। তিনি আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্যদের সভাপতি সামিরুল ইসলাম ওই শ্রমিকের দুর্দশার বিষয়টি জানার পর মহারাষ্ট্র পুলিশের যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র পাঠান। তার মধ্যে মেহবুবের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত বিবরণ ও পঞ্চায়েতের সার্টিফিকেট রয়েছে। তবে মহারাষ্ট্র পুলিশ ওই সব নথিপত্রকে গুরুত্ব দেয়নি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষেও মহারাষ্ট্র পুলিশকে মেহবুবের ভারতীয় নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল ঠাণেতে। তাতেও কাজ হয়নি।

মেহবুবের ভাই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা মুম্বাইয়ের ঠাণেতে গেলে মহারাষ্ট্র পুলিশ বলেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে আটক মেহবুবসহ আরও কয়েকজনকে তারা শিলগুড়িতে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। শিলিগুড়ির বিএসএফের ইউনিটে তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে তারা জানতে পারেন, গত শুক্রবার ভোরে মেহবুবসহ আটক সবাইকে ‘পুশ ব্যাক’ করা হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে বিএসএফ এবং মহারাষ্ট্র পুলিশ এই বিষয়ে কিছু জানায়নি। গত এক দেড় মাস ধরে বিএসএফের পুশ ব্যাক চললেও এই বাহিনী সরকারিভাবে কিছু জানাচ্ছে না। অন্যদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছে, বিএসএফ এমন অনেককে ঠেলে পাঠাচ্ছে যাদের কাছে ভারতীয় হিসেবে নথিপত্র আছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ