ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
Published: 27th, January 2025 GMT
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার মেয়ের জামাই। তিনি মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন।
সোমবার দুপুর দেড়টায় আলফাডাঙ্গা-গোপালপুর সড়কে মমোর বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ট্রাকসহ চালককে আলফাডাঙ্গা থানায় আটক করা হয়েছে।
নিহত খোকন খান (৫০) উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মৃত্যু তবিবর খানের ছেলে। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
দুর্ঘটনায় আহত সুমন শেখকে (২৮) আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত খোকন খানের চাচাতো ভাই গোপালপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি খান আমিরুল ইসলাম জানান, দুপুরে আলফাডাঙ্গা বাজারের কাজ শেষ করে মেয়ের জামাই সুমন শেখের মোটরসাইকেলে পেছনে বসে বাড়ির দিকে আসছিলেন খোকন খান। আলফাডাঙ্গা-গোপালপুর সড়কে মমোর বাড়ির সামনে আসলে গাছ বোঝাই করা ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা আমার চাচাতো ভাইয়ের মৃত্যু হয়। ভাগ্যক্রমে চালক জামাই সুমন বেঁচে যান। তাকে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ জানান, মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাকসহ চালককে আটক করা হয়েছে। মরদেহের নিতে এখনও পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ আসেনি। আসলে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?