জবির গুচ্ছে ফেরার কোন সুযোগ নেই: উপাচার্য
Published: 27th, January 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, গুচ্ছে ফিরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।  
ইউজিসি চত্বরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় জবিকে নিয়ে ‘অশালীন মন্তব্য’ করা হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এর প্রতিবাদও জানিয়েছে জবি প্রশাসন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিষয়টি রাইজিং বিডিকে নিশ্চিত করেন। এর আগে, গতকাল রবিবার (২৭ জানুয়ারি) ইউজিসিতে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে পাঠানো ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অগ্রহণযোগ্য। এমন মন্তব্য একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত ও নিন্দনীয়। সমালোচনা হতে হবে যুক্তিযুক্ত ও শালীন। অযাচিত ও অবমাননাকর ভাষার ব্যবহার কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উল্লেখ করে আরও বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে অশালীন ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে কিনা, তা তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.                
      
				
তিনি আরও বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে যেভাবে অমার্জিত মন্তব্য করা হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করব না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নিজস্ব ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’