জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, গুচ্ছে ফিরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।

ইউজিসি চত্বরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় জবিকে নিয়ে ‘অশালীন মন্তব্য’ করা হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এর প্রতিবাদও জানিয়েছে জবি প্রশাসন। 

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিষয়টি রাইজিং বিডিকে নিশ্চিত করেন। এর আগে, গতকাল রবিবার (২৭ জানুয়ারি) ইউজিসিতে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে পাঠানো ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অগ্রহণযোগ্য। এমন মন্তব্য একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত ও নিন্দনীয়। সমালোচনা হতে হবে যুক্তিযুক্ত ও শালীন। অযাচিত ও অবমাননাকর ভাষার ব্যবহার কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উল্লেখ করে আরও বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে অশালীন ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে কিনা, তা তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

রেজাউল করিম রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। গুচ্ছে থাকার কোন সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে আমরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের এডমিড কার্ড দিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে যেভাবে অমার্জিত মন্তব্য করা হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করব না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নিজস্ব ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

সিমন্সের চোখে মিরাজের অসুস্থতা ‘মধুর সমস্যা’

গলের মেঘলা আকাশ আর টানা বৃষ্টির মাঝে বাংলাদেশ টেস্ট দলের প্রস্তুতি শুরু হলো রোববার। শুরুর দিনেই একটি দুশ্চিন্তা—অসুস্থতার কারণে অনুশীলনে ছিলেন না ওয়ানডে অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের চোখে এটি আবার ‘মধুর সমস্যা’।

বাংলাদেশ কোচের মতে, মিরাজের সমস্যা সুযোগ করে দেবে অন্য কারও। তবে মিরাজও যে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন, সেটিও জানিয়েছেন সিমন্স। অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন মিরাজের সর্বশেষ অবস্থা, ‘গত দুই দিনে সে অনেকটাই ভালো আছে। আমরা দেখব সন্ধ্যায় ওষুধের পর সে কেমন থাকে। আশা করি, কাল অনুশীলন করতে পারবে এবং খেলার জন্য প্রস্তুত থাকবে।’

সিমন্স যোগ করেছেন, ‘এটা (মিরাজের অসুস্থতা) নিশ্চয়ই চিন্তার। তবে একজনের সমস্যা অন্যজনের জন্য সুযোগ এনে দেয়। দলের সবাই চায় মিরাজ সুস্থ হয়ে উঠুক, কিন্তু তারা এ–ও জানে, যদি মিরাজ না-ও খেলতে পারে, তাহলে অন্য কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে। এটা সমস্যা, তবে সমস্যাটা মধুর।’

মুশফিকের কাছে আলাদা কোনো প্রত্যাশা নেই—সব খেলোয়াড়ের কাছেই আমার চাওয়া একই থাকবেমেহেদী হাসান মিরাজ

এদিন অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে নিয়েও কথা বলেন সিমন্স। ২০১৩ সালে গলে ডাবল সেঞ্চুরি করা মুশফিকের কাছে বড় কিছু প্রত্যাশা করছেন না কোচ। তাহলে কী চাওয়া সিমন্সের? বাংলাদেশ কোচ বললেন, ‘আমি চাই সে যেন খেলাটা উপভোগ করে। ওই ইনিংস যেমন সে আনন্দ নিয়ে খেলেছিল, এবারও যেন সেটাই করে, তা-ই চাই। মুশফিকের কাছে আলাদা কোনো প্রত্যাশা নেই—সব খেলোয়াড়ের কাছেই আমার চাওয়া একই থাকবে।’

সম্প্রতি ওয়ানডে অধিনায়কত্বে হঠাৎ পরিবর্তন এনে নাজমুল হোসেনের বদলে মিরাজকে দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। সিমন্স মনে করেন, টেস্টে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব নাজমুলের ওপর পড়বে না, ‘আমি একেবারেই মনে করি না যে এটি ওকে প্রভাবিত করবে। মাঠে নামলে নাজমুল শুধু ক্রিকেট নিয়েই ভাবে, বাইরের বিষয় আমরা দেখি। তাই এটা ওর পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে না।’

বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ