বান্দরবানের লামায় সড়ক দস্যুতা মামলায় ৬ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা, পাশের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাঁসেরদিঘি ও উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং এলাকা থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করের।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা বাজার এলাকার বাসিন্দা নুর আলমের ছেলে মো.

খাইরুল আমিন (২১), শামুকছড়া এলাকার বাসিন্দা দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে জাহিদুল ইসলাম মানিক (২২) ও মেম্বার পাড়ার বাসিন্দা মো. ফজলু রেনু মিয়ার ছেলে মো. সালা উদ্দিন (২৫), কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাঁসেরদিঘি এলাকার বাসিন্দা মাহামুন নবীর ছেলে মো. দিদার (২৫), উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের লম্বরী পাড়ার বাসিন্দা আলী আহমদের ছেলে আবুল শরীফ (২২) ও সোনার পাড়ার বাসিন্দা রফিক উদ্দিনের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (২৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুটের তিনটি মোটর সাইকেল ও একটি স্মার্টফোন জব্দ করা হয়। 

লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাদাৎ হোসেন রোববার রাতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সড়কে দস্যুতার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করায় গ্রেপ্তারকৃতদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল র ফ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ