বিশ্বে সুপরিচিত ওয়ার্ল্ডফিশ ড. ফারুক-উল ইসলামকে সংস্থাটির নতুন কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ নিযুক্ত করেছে। সব মিলিয়ে বিশ্বের ২৭টি দেশে কার্যক্রম নিয়ে সংস্থাটি বিশ্বে মৎস্য ও জলজ সম্পদ উন্নয়ন ও গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।

যুক্তরাজ্যর স্টারলিং ইউনিভার্সিটি থেকে দেশি মাছ ও জীবন-জীবিকার ওপর ড. ফারুক পিএই ডি করেছেন। তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর কৃষি ও মৎস্য উন্নয়ন খাতে কাজ করছেন। যুক্তরাজ্য ও মৎস্য অধিদপ্তরের উল্লেখযোগ্য বড় কার্যক্রমে (১৯৯২) চাকরিজীবন শুরু করেন। সুদীর্ঘ ২২ বছর টানা কাজ করেন ঢাকায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা প্রাক্টিক্যাল অ্যাকশনে। সেখানে অন্তর্বর্তী কান্ট্রি ডাইরেক্টরের দায়িত্বও পালন করেন।

থিঙ্কএকুয়া (ইউকে) ও আইডিই (যুক্তরাষ্ট্র) নামক আন্তর্জাতিক সংস্থায় তিনি তার বহুমাত্রিক উন্নয়ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। ২০০৭ সালে তিনি ১০টি দেশি ছোট মাছকে (পুঁটি, কই, টেংরা, মাগুর, শিং, মলা , টাকি, চিংড়ি, গুতুম ইত্যাদি)) মৎস্য চাষ ও সমন্নিত ব্যবস্থাপনার জন্য অগ্রাধিকার দিতে চিহ্নিত করেন, যাদের সরবরাহ বাজারে দৃশ্যমান।

গবেষণা ও উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে পুকুরে জলাশয়ে অমজুতকৃত মাছের সংরক্ষণ ও চাষ ব্যবস্থার গুরুত্ব উপস্থাপন করেন। প্রকৃতিবান্ধব মৎস্য চাষ, বিশেষায়িত কৃষি ও জলবায়ু বিষয়ক প্রকল্পে দীর্ঘদিন কাজ করেন। বিশ্বের ৫৫টির বেশি উন্নয়ন প্রকল্প আন্তর্জাতিক টিমে কাজ করে ডিজাইন করেছেন। যার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাহায্য সংস্থা কর্তৃক অর্থায়ন হয়েছে।

কিছুদিন আগে তিনি মৎস্য চাষে এরেশান প্রযুক্তির উদ্ভাবন, গবেষণা ও ব্যাপক বিস্তারে যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি কর্তৃক মনোনীত ও স্বীকৃত হয়েছেন। তিনি কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিভিন্ন উন্নয়ন ও উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করেছেন। বিশ্বের ১২টি দেশে উন্নয়ন ও গবেষণা কাজ সরেজমিনে দেখে দেশের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে কাজ করছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক জ কর মৎস য

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ

বাংলায় কথা বললেই পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ ও দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার। আজ সোমবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে সীমান্ত সুরক্ষা ও পুশ ব্যাক বিষয়ে বিধায়কদের আনা প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বাসিন্দা মেহবুব শেখকে (৩৬) ঠেলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে বিএসএফের উত্তরবঙ্গের শাখা। ওই ব্যক্তি মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত ১১ জুন তাকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। 

মেহবুবের ভাই মুজিবুর রহমান জানান, তার বড় ভাইকে গত শুক্রবার ভোর রাতে শিলিগুড়ির বিএসএফ বাংলাদেশে ‘পুশ ব্যাক’ করেছে। তিনি আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্যদের সভাপতি সামিরুল ইসলাম ওই শ্রমিকের দুর্দশার বিষয়টি জানার পর মহারাষ্ট্র পুলিশের যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র পাঠান। তার মধ্যে মেহবুবের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত বিবরণ ও পঞ্চায়েতের সার্টিফিকেট রয়েছে। তবে মহারাষ্ট্র পুলিশ ওই সব নথিপত্রকে গুরুত্ব দেয়নি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষেও মহারাষ্ট্র পুলিশকে মেহবুবের ভারতীয় নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল ঠাণেতে। তাতেও কাজ হয়নি।

মেহবুবের ভাই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা মুম্বাইয়ের ঠাণেতে গেলে মহারাষ্ট্র পুলিশ বলেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে আটক মেহবুবসহ আরও কয়েকজনকে তারা শিলগুড়িতে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। শিলিগুড়ির বিএসএফের ইউনিটে তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে তারা জানতে পারেন, গত শুক্রবার ভোরে মেহবুবসহ আটক সবাইকে ‘পুশ ব্যাক’ করা হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে বিএসএফ এবং মহারাষ্ট্র পুলিশ এই বিষয়ে কিছু জানায়নি। গত এক দেড় মাস ধরে বিএসএফের পুশ ব্যাক চললেও এই বাহিনী সরকারিভাবে কিছু জানাচ্ছে না। অন্যদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছে, বিএসএফ এমন অনেককে ঠেলে পাঠাচ্ছে যাদের কাছে ভারতীয় হিসেবে নথিপত্র আছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ