পদ্ম পুরস্কার নিয়ে সোনু নিগমের প্রশ্ন
Published: 27th, January 2025 GMT
প্রতিবারের মতো এবারও প্রথা মেনে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের (২৬ জানুয়ারি) আগের দিন ঘোষণা করা হয়েছে এ বছরের পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের নাম। এবার পদ্ম সম্মানে ভূষিত হয়েছেন মোট ১৩৯ জন। তার মধ্যে মধ্যে ৭ পদ্মবিভূষণ, ১৯ পদ্মভূষণ সম্মান প্রদান করা হয়েছে।
তবে সংগীতশিল্পী অলকা ইয়াগনিক, শ্রেয়া ঘোষাল, সুনিধি চৌহান এবং কিশোর কুমারের মতো কিংবদন্তি গায়কদের পদ্ম পুরস্কার না দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন আরেক সংগীতশিল্পী সোনু নিগম।
সোনু নিগমের কথায় উঠে এল তাদের প্রসঙ্গ। একটি ভিডিওতে সোনু প্রশ্ন তুলেছেন কেন কিশোর কুমার, অলকা ইয়াগনিক, শ্রেয়া ঘোষাল এবং সুনিধি চৌহানের মতো সঙ্গীত শিল্পীদের এখনও পর্যন্ত কোনও পদ্ম পুরস্কার দেওয়া হয়নি। সোনুর কথায়, ‘যে গায়কেরা প্রত্যেকের জীবনের অনুপ্রেরণা, তাঁদের প্রতিভাকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।’
ভিডিওতে সোনু বলছেন, ‘দু’জন গায়ক, যারা সারা বিশ্বের গায়কদের অনুপ্রাণিত করেছেন তাঁদের মধ্যে শুধু একজনকে পদ্মশ্রী দেওয়া হয়েছে। তিনি মোহম্মদ রফি সাহেব। একজন আছেন, যিনি পদ্মশ্রী পাননি এখনও পর্যন্ত। তিনি কিশোর কুমার।’
এখানেই থেমে থাকেননি সোনু নিগম। তার কথায়, ‘অলকা ইয়াগনিকজির এত বছরের কেরিয়ার। তিনি এখনও পর্যন্ত কোনও পুরস্কার পাননি। শ্রেয়া ঘোষাল দীর্ঘদিন ধরেই একের পর এক গান গেয়ে সকলের মন জয় করেছেন। তাহলে তো তাদেরও পাওয়া উচিত এই সম্মান। সুনিধি চৌহান তাঁর অনন্য কণ্ঠ দিয়ে পুরো প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছেন। কেন তিনি এখনও কিছুই পাননি।’
ভিডিওর শেষে সোনু নিগম বলেছেন, ‘এমন ব্যক্তিদের নাম তুলে ধরতে, যারা যোগ্যতা সত্ত্বেও এখনও পদ্ম পুরস্কার পাননি, তবে পাওয়া উচিত ছিল। সেটা গানের জগতের হোক কিংবা অভিনয়ের, বিজ্ঞানের হোক কিংবা সাহিত্যের।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ