কুকুরের তাড়ায় প্রাণ বাঁচাতে মেহগনি গাছের মগডালে উঠে পড়ে বিড়ালটি। তীব্র শীতের মধ্যে সেখানেই পার করে দেয় গোটা একটি দিন। অবশেষে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের চেষ্টায় বিড়ালটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। 
ঘটনার শুরু রোববার সকাল ৮টার দিকে। উপজেলা পরিষদের পল্লি ভবনের সামনে একটি কুকুরের তাড়া খেয়ে বিড়ালটি উঠে পড়ে মেহগনি গাছের মগডালে। সেখান থেকে আর নামতে পারেনি বিড়ালটি। গতকাল সোমবার সকালে নিজ কার্যালয়ে এসে বিষয়টি নজরে পড়ে উপজেলা পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা গৌতম কুমারের। শীত-কুয়াশায় বিড়ালটির কষ্ট হচ্ছে ভেবে তিনি বিষয়টি জানান সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুরাইয়া মমতাজকে। তাঁর কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসেন ঘটনাস্থলে। 
বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ফজলুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টার চেষ্টায় প্রায় ৫০ ফুট উঁচু গাছ থেকে বিড়ালটিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেটিকে নিরাপদ জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ