সুবিধাবঞ্চিত তরুণ উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রাম ও বগুড়ার সুবিধাবঞ্চিত ২০০ তরুণ উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলেছে এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজেস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।

সোমবার রাজধানীর এক হোটেলে বেস্টসেলার ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজ ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে আয়োজিত ‘অর্থনৈতিক টেকসই উন্নয়নের উৎস নিশ্চিতের মাধ্যমে বগুড়া ও চট্টগ্রামের দু’শো তরুণ উদ্যোক্তাদের মৌলিক দক্ষতা প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে যুব উদ্যোক্তা এবং দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রকল্পের মূল ফলাফলও তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ক্ষ’র (এনএসডিএ) অতিরিক্ত সচিব মিস আলিফ রুদাবা। বিশেষ অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।

আরও উপস্থিত ছিলেন এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজেস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর ড.

মো. এনামুল হক, অ্যাডভাইসরি কমিটির চেয়ারপারসন মিস তাহেরা ইয়াসমিন, প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আশরাফ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে ‘অর্থনৈতিক টেকসই উন্নয়নের উৎস নিশ্চিতের মাধ্যমে বগুড়া ও চট্টগ্রামে দু’শো জন তরুণ উদ্যোক্তাদের মৌলিক দক্ষতা প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক প্রকল্পটির কার্যপরিধি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আশরাফ হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’র (এনএসডিএ) অতিরিক্ত সচিব মিস আলিফ রুদাবা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ