Samakal:
2025-05-01@14:07:21 GMT

বইয়ের সঙ্গে কাটুক শৈশব

Published: 27th, January 2025 GMT

বইয়ের সঙ্গে কাটুক শৈশব

তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে কাজ করছে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ। এর ধারাবাহিকতায় ২২ জানুয়ারি রাজবাড়ী শেরেবাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে উদ্বোধন হয় বই পড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫। স্কুল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত কর্মসূচির বিস্তারিত...
একটি ভালো বই সব সময়ের উৎকৃষ্ট বন্ধু। জ্ঞান ও চিন্তার দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি সমৃদ্ধ জীবনের জন্য বইয়ের বিকল্প নেই। বই পড়ার অভ্যাস কল্পনাশক্তি বাড়ায়, মানুষকে চৌকস করে তোলে; যা ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। একজন ভালো পাঠক সহজেই লেখক হয়ে উঠতে পারেন। যত বেশি বই পড়া হবে, লেখার দক্ষতা ততই উন্নত হবে। বইয়ের ইতিবাচক প্রভাবে বদলে যেতে পারে জীবন। বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে শিশু ও তরুণদের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে কাজ করছে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ। এরই ধারাবাহিকতায় রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশ হাতে নিয়েছে বই পড়া প্রতিযোগিতা কর্মসূচি ২০২৫। 
‘স্কুল পরিভ্রমণ’ শিরোনামে এ কর্মসূচির প্রথম অভিযান ছিল রাজবাড়ী শহরের ঐতিহ্যবাহী শেরেবাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সুভা’ গল্প নিয়ে শুরু হয়েছে এই যাত্রা। প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। 
প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা পাঠ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। বই পড়া নিয়ে তাদের অনুভূতিও ছিল অনন্য। তারা বলছে, আমরা পাঠ্যবইয়ের বাইরে ভালো বইও পড়তে চাই। বই পড়ার চর্চা অব্যাহত রাখতে চাই। এমন প্রতিযোগিতা আমাদের বই পড়তে আরও বেশি উৎসাহিত করে। আমরা চাই মাঝেমধ্যে যেন এমন আয়োজন করা হয়। 
আলোচনা পর্বে রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি কমল কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের উপদেষ্টা সাবেক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান, উপদেষ্টা রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক আহসান হাবীব, রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের পাঠচক্র সম্পাদক কলেজশিক্ষক আব্দুর রব সুমন, শেরেবাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম, সহকারী প্রধান শিক্ষক অরুণ প্রামাণিক, সহকারী শিক্ষক হাফিজুর রহমান, তপন কুমার পাল, আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রবিউল রবি প্রমুখ। আলোচনা শেষে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সেরা আটজনকে পুরস্কৃত করা হয়। সেরা আট শিক্ষার্থী হলো– সিনহা আক্তার, আয়শা আক্তার, লাবণ্য আক্তার, সুমাইয়া আক্তার, রাখী রানী কুণ্ডু, জিমিয়া, রাইশা ও ওয়াসফিয়া খানম।
রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের উপদেষ্টা সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান বই পড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বই পড়ার অভ্যাস কমে যাচ্ছে। ছাত্ররা এখন বই পড়ার পরিবর্তে ইন্টারনেট, ফেসবুকিং-এ বেশি আসক্ত। সুহৃদ সমাবেশ, রাজবাড়ীর এ উদ্যোগ ছাত্র-ছাত্রীদের বইমুখী হতে সাহায্য করবে। বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট করবে। জ্ঞান অর্জনের একমাত্র সর্বজনীন মাধ্যম বই। বই পড়া ছাড়া কোনোভাবেই জ্ঞান সম্পন্ন হতে পারে না। বইয়ের বিকল্প বই। বই আমাদের আলোকিত করে। বই আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে। বই আমাদের ভাষাকে পরিশীলিত করে, ভাষাকে শাণিত করে। বই পড়লে আমরা শব্দ জগতের এক মূল্যবান খনির সন্ধান পাই। বই না পড়ে জীবনে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন, এমন মানুষ খুব হাতে গোনা। বই পড়লে মন ভালো হয়ে যায়। মন ভালো থাকলে আরও ভালো হয়ে যায়। বই আনন্দের অপার উৎস। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বইয়ের নেশা ধরিয়ে দিতে হবে। একবার যদি বইয়ের অপার সৌন্দর্যের সন্ধান কেউ পায়, তাহলে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না। তার জীবন হবে সাফল্যমণ্ডিত। তিনি আরও বলেন, স্কুলে পাঠাগার থাকা খুব দরকার। পাঠাগারের বদৌলতে ছাত্রছাত্রীরা আরও বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাবে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের বই কেনার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
অন্য বক্তারাও এমন আয়োজনের জন্য সুহৃদ সমাবেশকে সাধুবাদ জানান। তারা জানান, বই পড়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। বই পড়লে মস্তিষ্ক উদ্দীপিত হয় এবং ব্রেন সচল থাকে। একজন মানুষকে সুস্থ থাকতে শরীরের প্রতিটি অংশের ব্যায়াম প্রয়োজন। মস্তিষ্কের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। নিয়মিত বই পড়লে মস্তিষ্কের ব্যায়াম হয় এবং মস্তিষ্ককে স্বাস্থ্যকর ও সুস্থ রাখে। স্বাস্থ্যগত সুবিধা থেকে শুরু করে স্মার্টনেস বই পড়ার এমন অসংখ্য সুবিধা আছে; যেগুলো আমাদের নিয়মিত বই পড়তে উৎসাহিত করে। এ ছাড়া নিয়মিত বই পড়লে বিভিন্ন বিষয়ে জানার পরিধি বাড়ে। বই পড়া শুরু না করলে বিষয়টি কারও কাছে বিরক্তিকর মনে হতে পারে। একবার শুরু করলে এটি অভ্যাসে পরিণত হবে। আয়োজন সফল করতে সহযোগিতা করেন রাজবাড়ীর সুহৃদ মানিক হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মিলন, সোহাগ প্রমুখ। পুরো আয়োজন সমন্বয়  করেন সমকালের জেলা প্রতিনিধি সৌমিত্র শীল চন্দন। 
প্রাথমিকভাবে একটি স্কুলে প্রতিযোগিতার আয়োজন শুরু হলো। ‘স্কুল পরিভ্রমণ’ নামে এ কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে। এর সার্বিক সহযোগিতায় থাকবেন রাজবাড়ীর সুহৃদরা। 
রাজবাড়ী প্রতিনিধি 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ত কর বইয় র

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।

মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।

সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।

জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।

তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।

এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ  রিকোভারীবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ