চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রাউন্ড রবিন লিগের ১২ ম্যাচ শেষে ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্লে’অফের অপেক্ষায় আছে দুর্বার রাজশাহী। তবে এখন পর্যন্ত দলটির ক্রিকেটারদের পাওনা নিয়ে জটিলতা কাটেনি। দ্বিতীয়বারের মতো বাউন্স করেছে চেক।

তবে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রাজশাহীর ম্যানেজার মেহরাব হোসেন অপি। দ্বিতীয়বারে মতো চেক বাউন্সের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অপি জানান তিনি নিজেও টাকা বুঝে পাননি এখনো। 

অপি বলেন, ‘‘গেম ডেভেলপমেন্টের মিটিং ছিল। তাই সকালেই আমি চলে এসেছি। ঘটনাটা কী, আমার জানা নেই। টিম হোটেলে গিয়ে কথা হলে আমি জানতে পারব। কোনো ক্রিকেটার আমাকে এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি। যেহেতু তারা কিছু বলেনি, তাই এখন মন্তব্য করতে চাই না।"

আরো পড়ুন:

দুর্নামের মাঝেই প্লে’অফের দৌড়ে দুর্বার রাজশাহী

প্লে’অফের দৌড়ে রাজশাহীর সামনে সুবর্ণ সুযোগ

‘‘আমি এখনও পাইনি টাকা। মালিকপক্ষ আমাকে একটা তারিখ দিয়েছে। সেই দিনের অপেক্ষায় আছি। তবে অন্যান্য ক্রিকেটার বা বাকিদের ২৫ শতাংশ দেওয়া হয়েছে। গত পরশু আরও ২৫ শতাংশ অর্থের চেক দেওয়া হয়েছে।’’ যোগ করেন অপি।

গত পরশু দেয়া ২৫ শতাংশের চেক বাউন্স করেছে আজ। রাজশাহীর একজন ক্রিকেটার রাইজিংবিডিকে বলেছেন, ‘‘আমরা আজকেও টাকা তুলতে পারিনি। এটা আমাদের জন্য হতাশার।’’

এদিকে আজ ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সাথে বৈঠকে বসেছে বিসিবি। রাজশাহীর বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নেয়নি ক্রিকেট বোর্ড।

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিকুর, তিন দিনেই জয় রাজশাহীর

জাতীয় ক্রিকেট লিগে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তিনদিনেই জয় পেয়েছে রাজশাহী বিভাগ। ৭ উইকেটে তারা হারিয়েছে খুলনা বিভাগকে। এদিকে সিলেটে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।

তার ব্যাটে ভর করে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে লড়ছে সিলেট। ঢাকার করা ৩১০ রানের জবাবে সিলেটের ৭ উইকেটে রান ২৬০। ৫০ রানে পিছিয়ে তারা। ১৭০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৯৩ রান করে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর। তার সঙ্গে ৫ রানে অপরাজিত আছেন ইবাদত হোসেন। এছাড়া শাহানুর ৩০ ও তোফায়েল ২৭ রান করেন।

আরো পড়ুন:

মাহিদুল-মজিদের সেঞ্চুরির দিনে মুমিনুলের ৮ রানের আক্ষেপ

স্বীকৃতির ১০ বছর পর জাতীয় ক্রিকেট লিগে ময়মনসিংহ

মিরপুরে খুলনার দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংও যুৎসই হয়নি। এবার ২৫৫ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। ১ উইকেটে ৬৮ রানে দিন শুরু করে তারা। এনামুলের ইনিংস থেমে যায় ৩৪ রানে। মোহাম্মদ মিথুন খুলতে পারেননি রানের খাতা। মিরাজ ৪৮ ও জিয়াউর এবং ইয়াসির মুনতাসির ৩২ রানের দুটি ইনিংস খেলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতেও তাদের স্কোর বড় হয়নি।

১৪৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ২৫৫ রানের বেশি করতে পারেনি। তাতে ১০৯ রানের লক্ষ্য পায় রাজশাহী। ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

হাবিবুর রহমান সোহান ৬৮ বলে ৬২ রান করেন ৪ চার ও ৩ ছক্কায়। ২৫ রান আসে সাব্বির হোসেনের ব্যাট থেকে। সাব্বির রহমান ১২ ও মেহরব ৪ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে ফেরেন। প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ে ফিরল তারা।

কক্সবাজারে ময়মনসিংহ বিভাগ ও রংপুর বিভাগের ম্যাচ বাজে আউটফিল্ডের কারণে ভেস্তে যায়। একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। ২ উইকেট হারিয়ে রংপুরের রান ১৮। এখনও তারা ৫৩৭ রানে পিছিয়ে। ময়মনসিংহ প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৫৫৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে।

পাশের মাঠে ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় খেলা হয়েছে। আগের দিনের ২ উইকেটে ১১৫ রানের সঙ্গে ৫১ রান যোগ করেন বরিশাল বিভাগ। খেলা হয়েছে কেবল ১৫ ওভার। জাহিদুজ্জামান খান ৩২ ও সালমান হোসেন ইমন ৭৫ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম ইনিংসে এখনও তারা ১৯২ রানে পিছিয়ে।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিকুর, তিন দিনেই জয় রাজশাহীর