মহাসমারোহে আজ নতুন ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের সমাপ্তি হতে যাচ্ছে। গ্রুপ পর্বের শেষ রাউন্ডে সবক’টি দল মাঠে নামছে। বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় একসঙ্গে ১৮টি ম্যাচ শুরু হবে। যার মানে, আজ রাতে ইউরোপজুড়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ উৎসব চলবে। এর মধ্যে ম্যানচেস্টার সিটি ও পিএসজি নামছে আসরে টিকে থাকার শেষ সুযোগ কাজে লাগাতে।
৩৬ দলের গ্রুপ পর্বে সেরা আটে থাকা দলগুলো সরাসরি শেষ ষোলোতে খেলবে। নবম থেকে ২৪তম স্থানে থাকা দলগুলো প্লে-অফে মুখোমুখি হবে। প্লে-অফ থেকে আসা ৮ দল এবং পয়েন্ট টেবিলের সেরা ৮ দল আগামী মার্চে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে। এরই মধ্যে শুধু লিভারপুল ও বার্সেলোনা সেরা আটে থাকা নিশ্চিত করেছে।
শেষ রাউন্ডের আগে সেরা আটে থাকা অন্য দলগুলো হলো আর্সেনাল, ইন্টার মিলান, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ, এসি মিলান, আটালান্টা ও বায়ার লেভারকুজেন। গ্রুপ পর্বের শেষ রাতে অনেক কিছু উলটপালট হয়ে যেতে পারে। এই যেমন, অষ্টম স্থানে থাকা লেভারকুজেন থেকে মাত্র ৩ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকা স্টুটগার্ট আছে ২৪ নম্বরে। তাদের মাঝে আরও ১৫ দল আছে। কাজেই একটি জয়-পরাজয় তো বটেই, গোল পার্থক্যেও অনেকে বাদ পড়তে পারেন। এর মধ্যে আর্সেনাল ও ইন্টার কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে, ড্র করলেই তাদের সেরা আটে থাকা পাকা। গানাররা খেলবে জিরোনার মাঠে এবং ইন্টার ঘরের মাঠে মোনাকোর মুখোমুখি হবে।
চ্যাম্পিয়ন্স রিয়াল মাদ্রিদ, রানার্সআপ বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, বায়ার্ন মিউনিখ, জুভেন্টাসের মতো জায়ান্টরা আজ সেরা আটে থাকার লড়াইয়ে নামবে। তাদের প্লে-অফ নিশ্চিত। তবে ঝুঁকিতে আছে ২০২৩ সালের চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি। তারা এখন ২৫তম স্থানে আছে। ২৪ নম্বরে থাকা স্টুটগার্টের চেয়ে ২ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে পেপ গার্দিওলার দল। গত ম্যাচে পিএসজির কাছে ৪-২ গোলে হেরে আজ ক্লাব ব্রুজের বিপক্ষে ম্যাচটিকে ‘ফাইনাল’ বানিয়ে ফেলেছে সিটি।
এর মধ্যে একটু স্বস্তি হলো, আজ তারা ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে খেলতে নামবে। জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে নতুন পাঁচজন দলে টানায় শক্তিও কিছুটা বেড়েছে সিটির। সিটির বিপক্ষে জিতে ২২ নম্বরে উঠে আসা পিএসজিও ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে। ২৪ নম্বরে থাকা স্টুটগার্টের মাঠে খেলতে নামবে আজ তারা। ড্র করতে পারলেই প্যারিসের দলটির প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে হেরে গেলে বিদায়।
পিএসজির জন্যও স্বস্তির খবর হলো, গত মৌসুম চমক দিয়ে বুন্দেসলিগায় রানার্সআপ হওয়া স্টুটগার্টের এবার আর সেই ধার নেই। গত মৌসুমে সাফল্যের রূপকার স্ট্রাইকার সেরহো গুইরাসি, অধিনায়ক ওয়ালডারমার এন্টন, সেন্টারব্যাক হিরোকি ইতোসহ বেশ কয়েকজন দল ছেড়েছেন। তাই এবার সেই শক্তি নেই জার্মান ক্লাবটির।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প পর ব প এসজ
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’
ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী।
গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”
আরো পড়ুন:
কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী
পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি
কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”
কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”
ঢাকা/শান্ত