এবার রংপুরকে হারিয়ে শেষ চারের পথে চট্টগ্রাম
Published: 29th, January 2025 GMT
চলতি বিপিএলে টানা ৮ ম্যাচে জিতে সবার আগে সুপার ফোর নিশ্চিত করে রংপুর রাইডার্স। ওই রংপুরকে প্রথম হারের স্বাদ দেয় দুর্বার রাজশাহী। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেও তাসকিনদের রাজশাহী হারিয়েছে রংপুরকে। শেষ চারের পথে এক পা দিয়ে রেখেছে তারা।
এবার রংপুর রাইডার্সকে হারাল চট্টগ্রাম কিংস। বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে ১৪৩ রান তোলে রংপুর। জবাবে ১৪ বল থাকতে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম। ঝড়ো ইনিংস খেলেন পাকিস্তানি ব্যাটার হায়দার আলী।
এই জয়ে সুপার ফোরের পথে এক পা দিয়ে ফেলেছে চট্টগ্রামও। ১০ ম্যাচে ৬ জয় পেয়েছে দলটি। খুলনা টাইগার্স তাদের হাতে থাকা দুই ম্যাচের একটিতে হারলেই রাজশাহী ও চট্টগ্রামের শেষ চার নিশ্চিত হয়ে যাবে। এছাড়া চট্টগ্রাম গ্রুপ পর্বে তাদের বাকি দুই ম্যাচের একটিতে জিতলেও নিশ্চিত হবে শেষ চার।
অন্য দিকে টানা তিন ম্যাচে পরাজিত হওয়ায় রংপুর রাইডার্সের সরাসরি কোয়ালিফায়ারে খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এদিন রংপুরের হয়ে ওপেনার সৌম্য সরকার ১৭ বলে ২৩ রান করেন। ৬৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন ইফতিখার আহমেদ। তার ৪৭ বলের ইনিংসটি সাতটি চার ও তিন ছক্কায় সাজানো ছিল।
জবাবে চট্টগ্রাম শুরুতে উইকেট হারালেও পারভেজ ইমন, গ্রাহাম ক্লার্ক ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে জয়ের পথে এগিয়ে ছিল। ইমন ৪৩ বলে ৪১ রান করেন। দুটি করে চার ও ছক্কা মারেন। ক্লার্ক ১২ বলে ১৫ রানের ইনিংস খেলেন। মিঠুন ১৫ বলে ২০ রান যোগ করেন।
ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলা হায়দার ১৮ বলে ৪৮ রান করেন। ছয়টি ছক্কা ও একটি চার মারেন তিনি। এর মধ্যে স্বদেশি আকিফ জাভেদের ১৮তম ওভারে পরপর চারটি ছক্কা তোলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’