চলতি বিপিএলে টানা ৮ ম্যাচে জিতে সবার আগে সুপার ফোর নিশ্চিত করে রংপুর রাইডার্স। ওই রংপুরকে প্রথম হারের স্বাদ দেয় দুর্বার রাজশাহী। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেও তাসকিনদের রাজশাহী হারিয়েছে রংপুরকে। শেষ চারের পথে এক পা দিয়ে রেখেছে তারা।

এবার রংপুর রাইডার্সকে হারাল চট্টগ্রাম কিংস। বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে ১৪৩ রান তোলে রংপুর। জবাবে ১৪ বল থাকতে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম। ঝড়ো ইনিংস খেলেন পাকিস্তানি ব্যাটার হায়দার আলী।

এই জয়ে সুপার ফোরের পথে এক পা দিয়ে ফেলেছে চট্টগ্রামও। ১০ ম্যাচে ৬ জয় পেয়েছে দলটি। খুলনা টাইগার্স তাদের হাতে থাকা দুই ম্যাচের একটিতে হারলেই রাজশাহী ও চট্টগ্রামের শেষ চার নিশ্চিত হয়ে যাবে। এছাড়া চট্টগ্রাম গ্রুপ পর্বে তাদের বাকি দুই ম্যাচের একটিতে জিতলেও নিশ্চিত হবে শেষ চার।

অন্য দিকে টানা তিন ম্যাচে পরাজিত হওয়ায় রংপুর রাইডার্সের সরাসরি কোয়ালিফায়ারে খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এদিন রংপুরের হয়ে ওপেনার সৌম্য সরকার ১৭ বলে ২৩ রান করেন। ৬৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন ইফতিখার আহমেদ। তার ৪৭ বলের ইনিংসটি সাতটি চার ও তিন ছক্কায় সাজানো ছিল।

জবাবে চট্টগ্রাম শুরুতে উইকেট হারালেও পারভেজ ইমন, গ্রাহাম ক্লার্ক ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে জয়ের পথে এগিয়ে ছিল। ইমন ৪৩ বলে ৪১ রান করেন। দুটি করে চার ও ছক্কা মারেন। ক্লার্ক ১২ বলে ১৫ রানের ইনিংস খেলেন। মিঠুন ১৫ বলে ২০ রান যোগ করেন।

ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলা হায়দার ১৮ বলে ৪৮ রান করেন। ছয়টি ছক্কা ও একটি চার মারেন তিনি। এর মধ্যে স্বদেশি আকিফ জাভেদের ১৮তম ওভারে পরপর চারটি ছক্কা তোলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।   

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর

* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।

* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।

* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।

শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।

এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।

আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫

দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।

গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।

টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ