সাভারের হেমায়েতপুরের হরিণধরায় চামড়াশিল্প নগরের প্রধান ফটক সংলগ্ন সড়কে ট্যানারি শিল্পের শ্রমিকদের জন্য পাঁচটি গ্রেডে সরকার ঘোষিত নূন্যতম মজুরি বাস্তবায়নের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা। 

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ব্যানারে এসকল কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।

বিক্ষোভকারী শ্রমিকেরা জানান, সকাল ১০ টার দিকে সাভারের চামড়া শিল্প নগরীর প্রধান ফটক সংলগ্ন সড়কে বিভিন্ন ট্যানারির শতাধিক শ্রমিক অবস্থান নেন। পরে তারা সেখানে কর্মবিরতিসহ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। দুইঘণ্টা কর্মসূচি পালন শেষে বেলা ১২টার দিকে তারা চলে যান। 

আন্দোলনে অংশ নেওয়া নজরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের (ট্যানারি শিল্পের শ্রমিকদের) জন্য পাঁচটি গ্রেডে সরকার নূন্যতম মজুরির প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। কিন্তু এখনো সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। এখন দুই ঘণ্টার জন্য কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করতেছি। এরপরও যদি বাস্তবায়ন করা না হয় তাহলে আধাবেলা (অর্ধদিবস), তারপরও না হলে কারখানা বন্ধ করে দিব। সরকার যে প্রজ্ঞাপন জারি করছে তা বাস্তবায়ন করে ছাড়ব।” 

শ্রমিক হাসিনা বেগম বলেন, “আমার বেতন ১০ হাজার টাকা। বহুদিন ধরে আমাদের বেতন বাড়ানো হয় না। এই বেতন দিয়া সংসার চলে না, জীবন চলে না। যতদিন মালিকেরা আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না করবেন, ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাব।” 

ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সরকার ট্যানারি শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন। মালিকপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে তারা যেন দ্রুত এটি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন।” 

তিনি আরো বলেন, “উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাস্তবায়নের ঘোষণা না দেওয়া হলে সংকট আরো বাড়বে। শ্রমিকদের কাছেও আমাদের অনুরোধ থাকবে তারা যেন শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেন।”

ঢাকা/আরিফ/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নেহাল ফেরায় কাবিলার জন্য ভালো নাকি মন্দ হলো, কী বলছেন পলাশ

আসল নামটাই যেন তাঁর বদলে গেছে। ভক্তদের কাছে তিনি সাত বছর ধরে ‘কাবিলা’ নামে পরিচিত। যেখানেই যান, সবাই কাবিলা বলেই সম্বোধন করে। অনেক সময় এই অভিনেতার জিয়াউল হক পলাশ নামটিই আড়ালে পড়ে যায়। তবে পর্দার নামটিও তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। এটাকে দর্শকদের উপহার হিসেবে নেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্টের’ এই কাবিলা খ্যাত অভিনেতা।

হাবু, পাশা, রোকেয়া, বোরহান চরিত্রের মধ্যে আলাদা করে সাড়া জাগিয়েছেন কাবিলা। এই ধারাবাহিক পলাশকে জনপ্রিয়তা দেওয়ার অন্যতম কারণ তাঁর ভাষা নোয়াখালী অঞ্চলের। একই সঙ্গে গল্পে ব্যাচেলরদের জীবনের নানান চিত্র তুলে ধরার কারণে, এটি দর্শক পছন্দ করেন। সিরিজগুলোতে আলাদা করে আসে পলাশের চরিত্রের পরিসর, যা দর্শক বেশির ভাগ সময়ই গ্রহণ করেন। তারপরও এই অভিনেতাকে তেমন কোনো ধারাবাহিকে দেখা যায় না। এর কারণ কী?

অভিনেতা পলাশ। ছবি: ফেসবুক থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ