বিপিএলের প্রথম পর্বে ঢাকায় কোন ম্যাচই জিততে পারেনি ঢাকা ক্যাপিটালস। সিলেট ও চট্টগ্রাম পর্বে ৩ ম্যাচে জয় পাওয়া ক্যাপিটালস ঢাকায় ফিরে আবারো পুরনো দলে পরিণত হয়েছে। বুধবার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে লিটন দাস, তানজিদ তামিমদের দল মাত্র ১৫.৩ ওভারে মাত্র ৭৩ রানে অলআউট হয়েছে।
বিপিএলের ইতিহাসে যা ১১তম সর্বনিম্ন রানে অলআউটের লজ্জা। এর আগে ২০১৬ সালে রংপুরের বিপক্ষে খুলনা ৪৪ রানে অলআউট হয়েছিল। ৭২ রানের মধ্যে অলআউটের ঘটনা আছে আরও নয়টি।
ঢাকা গ্রুপ পর্বে নিজেদের ১১তম ম্যাচে এদিন মিরপুর স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে। দুই ওপেনার লিটন ও তানজিদ ইনিংসে তৃতীয় ওভারে দলের ১৩ রানে ফিরে যান। উইকেট পড়ার ওই ধারা আর বন্ধ হয়নি। ৪১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে দলটি সর্বনিম্ন রানে অলআউটের শঙ্কায় পড়ে যায়।
শেষ দিকে থিসারা পেরেরা ১৫ ও রানসফোর্ড বেটন ১০ রান করে রানটাকে ৭০ এর ঘরে নিয়ে যান। ঢাকা ক্যাপিটালসকে ধসিয়ে দেওয়ার কাজটা করেছেন দুই স্পিনার মোহাম্মদ নবী ও তানভীর ইসলাম। তারা শুরুর দিকের ৬ উইকেট তুলে নেন। ওপেনার তানজিদকে ফেরানো ফাহিম আশরাফ আউট করেন ৩ ব্যাটারকে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল ঢ ক ক য প ট লস অলআউট র
এছাড়াও পড়ুন:
২০৭ রানে শেষ অস্ট্রেলিয়া, জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের লক্ষ্য ২৮২
লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের তৃতীয় দিনেই জমে উঠেছে খেলা। দ্বিতীয় ইনিংসে অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচেল স্টার্কের দৃঢ়তায় ২০৭ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানের লিড থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২৮২ রান।
ম্যাচে বল হাতে ঝলক দেখিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও নেন চারটি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট তুলে নেন এই প্রোটিয়া গতিতারকা। অস্ট্রেলিয়ার শেষ ব্যাটার হিসেবে অপরাজিত ছিলেন মিচেল স্টার্ক, খেলেছেন ৫৮ রানের কার্যকরী ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে ২১২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। স্টিভ স্মিথ ও বেউ ওয়েবস্টার ছাড়া কেউই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি। জবাবে কামিন্সের আগুনে পেসে ১৩৮ রানেই অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ফের ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৭৩ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারায় তারা। একে একে ব্যর্থ হন উসমান খাজা (৬), ক্যামেরুন গ্রিন (০), ট্র্যাভিস হেড (৯), স্টিভ স্মিথ (১৩) ও কামিন্স (৬)। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচেল স্টার্ক। অষ্টম উইকেটে দুজন গড়েন ৬১ রানের জুটি। ক্যারি করেন ৪৩ রান, স্টার্ক তুলে নেন ফিফটি।
শেষ উইকেটে জশ হ্যাজলউডকে নিয়ে আরও একবার প্রতিরোধ গড়েন স্টার্ক। দুইজন মিলে ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যান ২০০ পেরিয়ে। শেষ পর্যন্ত হ্যাজলউডকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করেন এইডেন মার্করাম।
এখন প্রোটিয়াদের সামনে সুযোগ ইতিহাস গড়ার। প্রথমবারের মতো টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে তাদের প্রয়োজন ২৮২ রান।