হঠাৎ বাফুফেতে সালাউদ্দিন, সভাপতির চেয়ারে বসতে বলেন তাবিথ
Published: 29th, January 2025 GMT
গত বছরের ২৬ অক্টোবর নির্বাচনের পর বুধবার প্রথম বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবনে আসেন সাবেক সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এ সময় তাকে বাফুফে সভাপতি তাবিথ তাকে নিজের চেয়ারে বসতে বলেন।
২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল; টানা চার মেয়াদে যে রুমে বসে ফুটবলের কার্যক্রম চালিয়েছেন, বুধবার নিজের সেই প্রিয় কক্ষে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন কিংবদন্তি এ ফুটবলার। তার আগমনের দিনে বিশেষ একটা কারণে বর্তমান বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল ছিলেন যুক্তরাজ্যে।
দুই মেয়াদে সালাউদ্দিনের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তাবিথের। তাই বাফুফের সাবেক সভাপতি সালাউদ্দিন ফেডারেশন ভবনে আসর পরই তাকে ফোন করেন তাবিথ। এই সময় তাকে ফোনে সভাপতির চেয়ারে বসার জন্য বলেন তাবিথ।
সেখানে উপস্থিত বাফুফের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ‘সালাউদ্দিন ভাই আসার পরই তাবিথ ফোনে কথা বলেছেন। সাবেক সভাপতির প্রতি সম্মান রেখে তাবিথ নিজের চেয়ারে বসতে বলেন সালাউদ্দিনকে। ধন্যবাদ জানান সালাউদ্দিন, তবে সভাপতির চেয়ারে বসেননি তিনি। প্রায় ৩ ঘন্টার মতো ফেডারেশনে ছিলেন তিনি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত ব থ আওয় ল
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক