ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করবেন ট্রাম্প
Published: 29th, January 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার ইহুদি-বিদ্বেষ মোকাবেলায় একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। এছাড়া ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিদেশি কলেজ ছাত্র এবং অন্যান্য ‘আবাসিক বিদেশিদের’ বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দেবেন। হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বুধবার আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।  
আদেশের একটি তথ্যপত্রে বলা হয়েছে, ট্রাম্প বিচার বিভাগকে ‘আমেরিকান ইহুদিদের ওপর সন্ত্রাসী হুমকি, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মকভাবে বিচার করার’ নির্দেশ দেবেন।
ট্রাম্প তথ্যপত্রে বলেছেন, “জিহাদিপন্থী বিক্ষোভে যোগদানকারী সব আবাসিক বিদেশিদেরসতর্ক করছি: ২০২৫ সালে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং আপনাকে নির্বাসিত করব। আমি কলেজ ক্যাম্পাসে হামাসের প্রতি সহানুভূতিশীল সব ছাত্র ভিসা দ্রুত বাতিল করব.                
      
				
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে গত বছর মার্কিন ক্যাম্পাসগুলোতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। ওই বছরের মে মাসে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মার্কিন ক্যাম্পাসের ৯৭ শতাংশ বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল।
বিক্ষোভকারীদের অনেকেই জানিয়েছেন, ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের বৈধ সমালোচনাকে ইহুদি-বিদ্বেষের সাথে মিশিয়ে ফেলা একটি পরিচিত কৌশল, যা ফিলিস্তিনি অধিকারের পক্ষে কথা বলা লোকদের নীরব করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
   
ঢাকা/শাহেদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’