শেহবাজ শরিফের প্রত্যাশা এবং প্রধান উপদেষ্টার জবাব
Published: 29th, January 2025 GMT
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পালাবদলকে দৃশ্যত পাখির চোখ করে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ গ্রহণের পরপর অন্য অনেক দেশের মতো পাকিস্তান শুভেচ্ছা জানিয়েই ক্ষান্ত হয়নি; ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টাসহ প্রায় সব উপদেষ্টা, এমনকি বিএনপিসহ গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী দলগুলোর সঙ্গেও সভা করেন।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইশাক দার তো গত ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশকে তাদের ‘হারিয়ে যাওয়া ভাই’ বলেই সম্বোধন করে বসলেন। বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ফি মওকুফ তো রয়েছেই।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে সাবেক কূটনীতিকদের সঙ্গে নিয়ে কৌশলগত রোডম্যাপ তৈরি করেছেন। উল্লিখিত পদক্ষেপগুলো যে তারই অংশ, তা বুঝতে কারও বিশেষজ্ঞ হতে হবে না। কিন্তু রোডম্যাপটি ধরে পাকিস্তান মঞ্জিলে মকসুদে পৌঁছতে পারবে কিনা, সে সংশয় ইতোমধ্যে উঠেছে। অন্তত মিসরের কায়রোতে ডি৮ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে শেহবাজ শরিফ ও ড.
সমকাল জানাচ্ছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইসলামাবাদের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত সমস্যাগুলো মীমাংসা করার তাগিদ দেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিষয়গুলো বারবার আসছে। আসুন, আমরা সামনে এগিয়ে যেতে সেই বিষয়গুলোর ফয়সালা করি (সমকাল, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪)’। তখন শেহবাজ শরিফ বলেন, ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় সিমলা চুক্তিতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত বিষয়গুলো মীমাংসা করেছে, কিন্তু যদি অন্যান্য অমীমাংসিত সমস্যা থাকে, তবে সেগুলো দেখতে পেলে তিনি খুশি হবেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস তখন আবারও বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিষয়গুলো চিরতরে সুরাহা করে ফেলা ভালো হবে।
বস্তুত ওই বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এমন কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন, যেগুলো বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানসৃষ্ট দগদগে ঘায়ের মতো। তাই তাঁর যে কোনো পূর্বসূরির মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর জন্যও বিষয়টি আদৌ স্বস্তিদায়ক ছিল না।
প্রসঙ্গত, সিমলা চুক্তিতে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ১৯৫ পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার বিচারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, যা আজও পূরণ হয়নি। দেশটির কাছে একসঙ্গে থাকাকালীন সম্পদের হিস্যা এবং বৈদেশিক দায়দেনা বাবদ বাংলাদেশের পাওনা বর্তমানে ৫ লাখ কোটি (মতান্তরে ১১ লাখ কোটি) টাকা ছাড়িয়েছে, সেটাও অপরিশোধিত। সিমলা চুক্তিতেই এখানে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের সে দেশে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটিও আলোর মুখ দেখেনি। সর্বোপরি পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের কাছে ১৯৭১ সালের অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুক– এ দাবিও পাকিস্তান এড়িয়ে চলেছে।
এটাও বলা দরকার, দুই দেশের এতদিনকার শীতল সম্পর্কের জন্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করা হলেও, ওই সরকারের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের বর্তমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে আম উপহার দিয়েছিলেন। সর্বশেষ আম হস্তান্তরের পর পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এক বিবৃতিতে এমন কথাও বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উপহার ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত করবে।’
সন্দেহ নেই, ভারতের সঙ্গে তাদের বিশেষ সম্পর্ক বিগত সরকারের আমলে পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিবিড় হতে দেয়নি। তবে দুই দেশের মধ্যকার উল্লিখিত অনিষ্পন্ন বিষয়গুলোও যে সম্পর্কোন্নয়নে পথের কাঁটা ছিল, তা ভুলে গেলে চলবে না।
১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর আমাদের বুড়িগঙ্গা ও পাকিস্তানের সিন্ধুতে যেমন অনেক জল গড়িয়েছে, তেমন দুই দেশেই নানা ক্যু-পাল্টা ক্যু এবং গণআন্দোলনের ফসল হিসেবে সরকার এসেছে ও গেছে। কিন্তু পাকিস্তানের দিক থেকে চেষ্টার শেষ না থাকলেও, বাংলাদেশের কোনো সরকারই– এমনকি কেউ কেউ ১৯৭১-এর দুঃসহ স্মৃতি ভুলিয়ে দেওয়ার কোশেশ করলেও– দুই দেশকে খুব কাছাকাছি আনতে পারেনি। দুই দেশের মধ্যে বর্তমান সরকারের সময় সরাসরি সামুদ্রিক জাহাজ চলাচলের ঘটনাই তার প্রমাণ। বিগত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবু হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদকে বলেছিলেন, ১৯৭৭, ১৯৮০, ১৯৮৯, ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০৩, ২০০৪, ২০০৫, ২০১০ এবং ২০১২ সালে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠকে বিশেষত ন্যায্য পাওনার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। কিন্তু পাকিস্তান বরাবরই নিরুত্তর থেকেছে।
বস্তুত, বাংলাদেশের রাজনীতি যতই সংঘাতমুখর হোক, পাকিস্তানের কাছে আমাদের দাবিগুলোর ব্যাপারে রাজনৈতিক মতানৈক্য নেই বললেই চলে। এটাও বলা যায়, দাবিগুলো জনপরিসরে এতটাই জায়গা করে নিয়েছে যে, কোনো সরকার বা দলের পক্ষেই সেগুলো উপেক্ষা করে পাকিস্তানের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কে জড়ানো সহজ নয়।
লক্ষণীয়, সম্প্রতি পাকিস্তানের বন্দরনগরী করাচি থেকে একাধিক পণ্যবাহী জাহাজ ‘সরাসরি’ চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে। বলা হচ্ছে, ১৯৭১ সালের পর এই প্রথম কোনো পাকিস্তানি জাহাজ এখানে নোঙর করল। অর্থাৎ ইতোপূর্বে পাকিস্তানের প্রতি আপাত বন্ধুভাবাপন্ন অনেক সরকার এখানে এলেও কেউই পাকিস্তানের সঙ্গে ওই ‘ঐতিহাসিক’ সমুদ্র যোগাযোগ স্থাপন করতে সাহস পায়নি।
দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার তাগিদ পাকিস্তান যতটা বোধ করে, বাংলাদেশও কি ততটা বোধ করে? প্রধানত মুক্তিযুদ্ধই এ পার্থক্য তৈরি করেছে। পাকিস্তানের পূর্বাংশের ওপর পশ্চিমাংশের প্রায় ২৪ বছরের ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ এবং ১৯৭১ সালে এখানকার মুক্তিকামী জনগণের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা, নিপীড়ন-নির্যাতনের কথা কি বিস্মরণযোগ্য?
এটাও মানতে হবে, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির ফসল হিসেবে বর্তমান বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হলেও, দীর্ঘ ভৌগোলিক দূরত্ব এবং নৃতাত্ত্বিক-ভাষিক-সাংস্কৃতিক ভিন্নতার প্রাচীর উভয় জনগণকে একাত্ম হতে দেয়নি। ইতিহাসের কোনো পর্যায়ে উভয় ভূখণ্ডের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ ছিল, এমন কোনো প্রমাণও নেই।
ইসলামাবাদ চায় ঢাকার সঙ্গে ‘কৌশলগত’ সম্পর্ক গড়ে উঠুক। বিশেষত ‘চিরশত্রু’ ভারতকে মোকাবিলায় পাকিস্তানের ভূরাজনৈতিক স্বার্থে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ডি৮ সম্মেলনে বৈঠককালে সার্ক পুনরুজ্জীবনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি আঞ্চলিক সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদও জানান। কিন্তু কথায় যেমন চিড়ে ভিজে না, তেমনি বাংলাদেশের মূল প্রত্যাশা পূরণের বদলে নিছক প্রশংসায় ওই কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে উঠবে না।
তবে এটাও বলে রাখি, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে কোনো বাধা আছে বলে আমি মনে করি না। প্রথমত, মুক্তিযুদ্ধ ছিল পাকিস্তানি শাসক ও তার অনুচরদের বিরুদ্ধে; দেশটির সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমাদের শত্রুতা ছিল না। উপরন্তু, কবি ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ, কবি আহমেদ সালিমসহ বহু প্রগতিমনা ও মানবতাবাদী পাকিস্তানি নাগরিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছেন। দ্বিতীয়ত, আমাদের এগিয়ে যাওয়ার স্বার্থেই দক্ষিণ এশীয় ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলা সময়ের দাবি, পাকিস্তানের জনগণও যার অপরিহার্য অংশ।
সাইফুর রহমান তপন: সহকারী সম্পাদক, সমকাল
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র র ব ষয়গ ল র জন ত র জন য ন নয়ন
এছাড়াও পড়ুন:
ইরান যে তিন কারণে পারমাণবিক অস্ত্র বানাবে না
বিশ্বরাজনীতিতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি একটি বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত ইস্যু। পশ্চিমা শক্তিগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল, বহু বছর ধরে অভিযোগ করে আসছে, ইরান নাকি গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চাইছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বা যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আজ পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি, যা এ দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করে। অন্যদিকে ইরান শুরু থেকেই বলে আসছে যে তাদের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ ও বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত।
প্রশ্ন হলো, যদি ইরান সত্যিই পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চাইত, তাহলে গত দুই দশকে তা তৈরি করেনি কেন? আর যদি তা না-ই চায়, তাহলে উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাচ্ছে কেন? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে হলে ইরানের ধর্মীয় অবস্থান, কৌশলগত চিন্তা, রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির দ্বিচারিতা একত্রে বিশ্লেষণ করতে হবে।
আরও পড়ুনইরান এবার বড় যুদ্ধের জন্য যেভাবে প্রস্তুত হবে০৬ জুলাই ২০২৫ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা ও নৈতিক অবস্থান২০০৩ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি একটি ঐতিহাসিক ফতোয়া জারি করেন। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়, ‘পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি, মজুত কিংবা ব্যবহার ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম।’ এ সিদ্ধান্ত শুধুই ধর্মীয় নয়, বরং একটি নৈতিক অবস্থানও, যেখানে নিরীহ মানুষ হত্যাকে ইসলাম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে। পারমাণবিক বোমা শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে না, বরং শহর, জনপদ ও লাখ লাখ নিরীহ মানুষের প্রাণ হরণ করে। ইসলামের যুদ্ধনীতিতে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
ইরান মনে করে, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার শুধু মানবতার বিরুদ্ধে নয়, পরিবেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিরুদ্ধে চরম অন্যায়। হিরোশিমা-নাগাসাকির দৃষ্টান্ত এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ দেয়।
কৌশলগত ও সামরিক বাস্তবতাঅনেকের ধারণা, পারমাণবিক অস্ত্র থাকলেই একটি দেশ নিরাপদ থাকে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। পাকিস্তান ১৯৯৮ সালে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করলেও ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানে অংশ নিতে বাধ্য হয়। উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রধারী হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে। এমনকি রাশিয়া, যাদের বিশ্বের সর্বোচ্চ পারমাণবিক অস্ত্র মজুত রয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটোর সঙ্গে কৌশলগতভাবে চাপে পড়েছে। ইসরায়েলও অঘোষিত পারমাণবিক অস্ত্রধারী হওয়া সত্ত্বেও ইরানের ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ’-এ বড় ধরনের সামরিক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।
এ বাস্তবতা ইরানকে বুঝিয়ে দিয়েছে, পারমাণবিক অস্ত্র নয়, কার্যকর প্রতিরোধক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। তাই তারা শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, চালকবিহীন বিমান বা ড্রোন এবং কৌশলগত অস্ত্র নির্মাণে জোর দিয়েছে।
সামরিক মহড়া চলাকালে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের অজ্ঞাত স্থান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৯ জানুয়ারি ছবিটি প্রকাশ করে ইরান